পার্কের রেলিং-এর পরে এ বার সরকারি বাসও নীল-সাদা রঙে সাজতে চলেছে!
কলকাতার সৌন্দর্যায়নে হরেক পরিকল্পনার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মহানগরীর ঘরবাড়ি নীল-সাদায় রাঙাতে চান। কলকাতার মেয়র মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে জানিয়েছিলেন, পুরসভার পার্কগুলিতেও থাকবে নীল-সাদারই ছোঁয়া। এ বার রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাসগুলির ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রীর সেই ভাল লাগাকেই প্রাধান্য দিতে চান রাজ্যের নতুন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বুধবার তিনি বলেন, “সরকারি বাসের রঙও বদলে দেওয়ার কথা ভাবছি। সেগুলিকে নীল-সাদা রঙ করে দেওয়ার ইচ্ছে আছে।”
কিন্তু সরকারি বাসে রং করার সুযোগ মন্ত্রী আদৌ কতটা পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি পরিবহণ নিগমগুলির অফিসার-কর্মীদের একাংশই। তাঁরা বলছেন, রোজই বিভিন্ন রুটে বাস বসিয়ে দিতে হচ্ছে। এক বার গ্যারাজে ঢুকলে বিকল বাস আর রাস্তায় বেরোচ্ছে না। পরিবহণ দফতরের হিসেবে, সরকারি পরিবহণ নিগমগুলির গ্যারাজে কয়েক হাজার বাস ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে। সেগুলি মেরামত করতে প্রয়োজন কয়েক কোটি টাকা। সরকারি পরিবহণ নিগমগুলির কর্মীদের বেতন এবং অন্য খরচ বাবদ রাজ্য সরকারকে ৬০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ দিন মদন মিত্রও বলেছেন, “৬০০ কোটি ভতুর্কি দেওয়া হয় সরকারি পরিবহণ নিগমগুলিকে। এটা চলতে পারে না। সরকারি নিগমগুলিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।” বেসরকারি বাসের মালিকেরা অবশ্য বহু দিন থেকেই ভাড়া বাড়ানোর দাবি করে আসছেন। এ দিনও মহাকরণে নতুন পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেই দাবি জানিয়ে গিয়েছেন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের নেতা সাধন দাস। তিনি বলেন, “ভাড়া না বাড়ালে চলবে কী করে?” বাস-মালিকদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, “তেলের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে বাস কি জলে চলবে?” মদনবাবু অবশ্য সাধনবাবুদের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, “কোনও ভাবেই ভাড়া বাড়ানো হবে না।” তা হলে সংস্কারের কাজ কী ভাবে হবে? তিনি বলেন, “প্রয়োজনে বাসের ইউনিয়ন ও নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে কনভেনশন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” বেপরোয়া গাড়ি চালানো ঠেকাতে কঠোর আইন আনা হতে পারে, জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “লাইসেন্স করতে প্রত্যেককে ভোটার পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। আমরা চাই পাসপোর্টের মতো গাড়ি চালানোর লাইসেন্সও সরাসরি বাড়িতে পাঠানো হোক।” |