প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মহকুমাশাসক ও জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে নালিশ করলেন স্কুলের পরিচালন সমিতির দুই সদস্য-সহ অভিভাবকদের একাংশ। পাড়া থানার আনাড়া পঞ্চায়েতের ভাগাবাঁধ হাইস্কুলের ঘটনা। মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) আবিদ হোসেন বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হবে।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদাম গরাইয়ের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদকের (সিপিএম মনোনীত) অভিভাবক হিসেবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে বিধি না মেনে প্রধান শিক্ষক সেই পদটির জন্য নির্বাচন করেছেন। স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধিদের ছ’জনের মধ্যে তিন জন সিপিএমের মনোনীত ও বাকি তিন জন বাম বিরোধী জোটের। বাম বিরোধী জোটের রামলাল শান্তিকারী ও প্রণব দেওঘরিয়া জানান, তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি ২৮ ডিসেম্বর পরিচালন সমিতি থেকে পদত্যাগ করেন। ৩১ ডিসেম্বর পরিচালন সমিতির সম্পাদকের অভিভাবক হিসেবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। তাঁদের অভিযোগ, “তিন জন শিক্ষক প্রতিনিধি পদত্যাগ করার ফলে পরিচালন সমিতি অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক বিধি না মেনে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন। ১২ জানুয়ারি নির্বাচন করা হয়।” পদত্যাগ করা শিক্ষক প্রতিনিধি সদানন্দ মোদকের অভিযোগ, “শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না করে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন করা অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।”
এ ছাড়া স্কুলের ভবন নির্মাণ, পড়ুয়াদের কাছ থেকে ফি বাবদ টাকা আদায় করা-সহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁরা বেনিয়ম করার অভিযোগ করেছেন। সোমবার তাঁরা মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) ও জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। প্রধান শিক্ষক অবশ্য দাবি করেন, “শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সেই প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না করে অভিভাবক প্রতিনিধি কো-অপ্ট করা যাবে না, এই মর্মে কোনও নিয়ম নেই। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়ম মেনে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে। তাতে পরিচালন সমিতির অনুমোদনও রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়।” |