টুকরো খবর
সেতুর শিলান্যাস হল দু’বার
এগারো মাসের মধ্যে সন্দেশখালিতে বালি নদীর উপরে প্রস্তাবিত সেতুর জন্য দ্বিতীয় বার শিলান্যাস করা হল। তবে দু’বার দু’পারে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্গামণ্ডপ পঞ্চায়েত এলাকায় ওই সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে নদীর অন্য পারে, জেলিয়াখালি বাজারে একই কাজ করলেন বর্তমান সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল। অথচ, শিলান্যাসের আগে মঞ্চ থেকে শ্যামলবাবুই ঘোষণা করেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না একই প্রকল্পে বারবার শিলান্যাস করে টাকা নষ্ট হোক।” তা সত্ত্বেও শ্যামলবাবু ওই কাজ করলেন কেন? মন্ত্রীর বক্তব্য, “আগের বার সেতুর জন্য যে পরিকল্পনা হয়েছিল, তাতে ত্রুটি ছিল। নতুন ভাবে সেতুটির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই শিলান্যাস করা হল।” সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের প্রকল্প অধিকর্তা সুভাষচন্দ্র বসু বলেন, “সমস্যা হচ্ছিল অ্যাপ্রোচ রোডগুলি নিয়ে। আগের বার পরিকল্পনায় ওই রাস্তা যে সব এলাকায় ছিল, সেখানে মেছোভেড়ি, বাস্তুজমি পড়ছিল। এ বার সে সব বাদ দিয়ে অ্যাপ্রোচ রোডের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।” প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “চমক দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার একই প্রকল্পের দু’বার শিলান্যাস করল। আমাদের আমলেই ওই সেতুর জন্য দরপত্র ডাকা হয়ে যায়। অর্থও বরাদ্দ হয় পরিকল্পনায় ত্রুটি থাকলে সে সব হত না।” বালি নদীর উপরে সেতুটি হলে দুর্গামণ্ডপ, মণিপুর, জয়গোপালপুর, আমতলি-সহ সন্দেশখালি-২ ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই উত্তর ২৪ পরগনায় যাতায়াতের সুবিধা হবে সুন্দরবনের গোসাবা এলাকার বাসিন্দাদেরও।

আস্থায় হার কংগ্রেসের, নয়া প্রধান তৃণমূলের
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের হাদিপুর ঝিকরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল। তৃণমূলের ৪টি ভোটে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হলেন তরুণকান্তি বসু। এ দিন কংগ্রেস ও বিজেপির কোনও প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নেননি। পঞ্চায়েতে মোট আসন ৯টি। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয়েই ৪টি আসন পায়। ১ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। পরে জোট করে পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের আবদুল গনি দেওয়ান। ২০০৯ সালের মাঝামাঝি পঞ্চায়েতে দুর্নীতি এবং উন্নয়নমূলক কোনও কাজ না হওয়ার অভিযোগ এনে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপি। কিন্তু আস্থা ভোটের আগেই প্রধান পদত্যাগ করেন। নতুন প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের আবদুল হাকিম মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধেও তৃণমূলের ৪ জন একই অভিযোগে অনাস্থা আনে। সম্প্রতি ওই অনাস্থার উপরে ভোটাভুটি হলে প্রধান আবদুল হাকিম মণ্ডল ৪-৫ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এ দিন নতুন প্রধান নির্বাচনে কংগ্রেস এবং বিজেপি অংশ না নেওয়ায় কার্যত বিনা লড়াইয়ে জয়ী হয় তৃণমূল। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আবদুল গনি দেওয়ান বলেন, “জেলা পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার নির্দেশ ছিল। সেই কারণে আমাদের কেউ ভোটাভুটিতে হাজির ছিল না।’’

যুবকের দেহ উদ্ধার
খালের ধার থেকে বছর পঁচিশের এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ডায়মন্ড হারবারের নৈনান চৌষা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একটি খুনের মামলা রুজু করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারাই দেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া
--নিজস্ব চিত্র।
বাসন্তীর নারায়ণতলা রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হল মঙ্গলবার। ৪৪ টি বিভিন্ন বিভাগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকা ও পরিচালন সমিতির সদস্যরা যোগদান করেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

লোকসংস্কৃতি ও টুসু মেলা ক্যানিংয়ে
দু’দিনব্যাপী আদিবাসী লোকসংস্কৃতি ও টুসুমেলা শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার খুচিতলায়। মঙ্গলবার মেলার উদ্বোধন করেন ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক শেখর সেন। মেলার উদ্যোক্তা স্থানীয় আদিবাসী নব তরুণ সঙ্ঘ। মেলায় বিভিন্ন ধরনের স্টল ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ বার মেলা ১২ বছরে পা দিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.