|
|
|
|
বেহাল ফেরিঘাট, বিপজ্জনক পারাপার কুলতলিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কুলতলি |
দীর্ঘদিন ধরে কোন সংস্কার হয়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের টাকি নদীর ফেরিঘাটের। নীচের কড়ি বরগাগুলির বিপজ্জনক অবস্থা। নেই যাত্রীশেড, শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থাও। ফলে রোজই চরম সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। ফেরিঘাটটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন সুরাহা হয়নি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নদীর উপর তাকি ফেরিঘাট থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে চুপড়িঝাড়া ও ঝটা জগেন্দ্রপুর নামে আরোও দুটি জেটিঘাট আছে। ভোর ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা অবদি যন্ত্রচালিত নৌকা চলাচল করে অথচ প্রায় ৩৫ বছর আগে জেলাপরিষদ থেকে তৈরি জেটিটির দীর্ঘদিন কোন সংস্কার হয়নি। যাত্রীশেড না থাকায় বর্ষায়, রোদে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। |
|
ভাঙাচোরা এই ফেরিঘাটেই চলে ঝুঁকির পারাপার।--নিজস্ব চিত্র। |
নেই শৌচাগার বা উপযুক্ত স্থানীয় জলের ব্যবস্থাও। অথচ ওই ফেরিঘাটটি ব্যবহার করেন ভুবনেশ্বরি, মেপিঠ, জটা গ্রাম পঞ্চায়েতসহ আরোও ৬-৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকশো বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার নিত্যযাত্রীরা কুলতলি ব্লক বা মথুরাপুর-২ ব্লকি যাতায়াত করতে ওই ফেরিঘাট ব্যবহার করেন। এছাড়াও আছেন স্থানীয় স্কুল, কলেজ, অফিস কাছারিতে যাওয়া নিত্যযাত্রীরা।
ফেরিঘাটটি বিপজ্জনক হওয়ায় এবং ভালো আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা নামলে নৌকায় ওঠানামা করতে গেলে যে কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া রোগি নিয়ে জামতলা, নিমপীঠ বা রায়দিঘী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই মণ্ডল, জাহাঙ্গীর মোল্লারা জানান, বৃষ্টিতে জেটিতে ওঠানামা করার সময় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তাছাড়া তাকির মুখে মঙ্গলবার ও শনিবার হাটে প্রচুর মহিলারা আসেন। ফলে সমস্যা আরো বেড়ে যায়।
ফেরিঘাটের বর্তমানে দায়িত্বে থাকা সনৎ মণ্ডল জানালেন, ফেরিঘাটটি জেলা পরিষদ থেকে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পূজোর সময় কংক্রিটের পাটাতন ভেঙে পড়েছিল। তা নিজের টাকাতে সারিয়েছি তবে পাকাপাকি করা যায়নি। এখানে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল এসেছিলেন। তাঁকে সমস্যার কথা বলেছি। এমনকি দফতরেও জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, অর্থ অনুমোদন হলে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। |
|
|
|
|
|