টানা দু’ দিন অপহৃত থাকার পরে বুধবার বাড়ি ফিরে এলেন কুয়েত ব্যবসায়ী নির্মল বাইন। এ দিন রানাঘাটের কুপার্স কা্যম্পে নিজের বাড়িতে বেলা একটা নাগাদ ফিরে আসেন তিনি। তবে খবরটা স্থানীয় থানায় পৌঁছতেই তাঁকে থানায় ডেকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। রাত পর্যন্ত তা চলেছে।দিন কয়েকের ছুটি কাটিয়ে সোমবার কুয়েত-সিটিতে ফিরে যাওয়ার জন্য কুপার্সের বাড়ি থেকে দমদম বিমানবন্দরে রওয়ানা দিয়েছিলেন নির্মল। সঙ্গে ছিলেন পাড়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিপ্লব বিশ্বাস। কুর্পাস থেকেই পরিচিত যুবক ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলের গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন তাঁরা। সেই টাটা সুমোয় সোমবার সকালে কুপার্স ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাংনাপুরের কুমার শাটপুরের কাছে রাস্তা আটকে জনা কয়েক যুবক সরস্বতী পুজোর চাঁদার জন্য জুলুমবাজি শুরু করে। বিবাদ মেটাতে নেমে গিয়েছিলেন নির্মল নিজেই। সেই সময়ে ওই যুবকেরা হুড়মুড়িয়ে গাড়িতে উঠে টেনে তুলে নেয় নির্মলকেও। তারপরেই গাড়ি ছুটতে থাকে শিমুরালির দিকে। শিমুরালি পেট্রল পাম্পের কাছে প্রায় ধাক্কা দিয়েই ইন্দ্রজিতকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি নিজেই জানান। ইন্দ্রজিতের অভিযোগ, “সে দিন বিকেলেই চাকদহ থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু থানা সে অভিযোগই নিল না।” ইন্দ্রজিতের পরে গাড়ি কিছু দূর গিয়ে, বাঁশবেড়িয়ার কাছে বিপ্লবকেও নামিয়ে দেওয়া হয় বলে সে রাতেই বাড়ি ফিরে এসে বিপ্লব জানান। কিন্তু তারপর থেকে নিমর্লের কোনও খোঁজ ছিল না। মঙ্গল বার নির্মলের বাড়ি থেকে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নির্মলের ভাইপো অমিত জানান, বুধবার দুপুরেই কাকা বাড়ি আসেন। তিনি বলেন, “সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় পুলিশ আসে। তারা কাকাকে থানায় নিয়ে যায়। কী করে কাকা ফিরল, কারা তাঁকে অপহরণ করেছিল কিছুই জানতে পারিনি।”
রানাঘাটের এসডিপিও আজহার বলেন, “ওই যুবকের অপহরণের খবর পেয়ে আশপাশের জেলাগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছিল। এ দিন সকালেই খবর আসে হুগলির মগড়ার কাছে ওই সুমোটি পড়ে রয়েছে। খবর পাচ্ছি কল্যাণীর লাগোয়া কোনও এলাকায় অপহরণকারীরা নির্মলবাবুকে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছে। আপাতত নির্মলবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
|