পুর-দায়িত্বে বিধাননগর মেলা শুরু
ই প্রথম সরাসরি বিধাননগর পুরসভার পরিচালনায় শুরু হল বিধাননগর মেলা (উৎসব)। আর সেই মেলা ঘিরে বিতর্ক তৈরি করলেন বিরোধীরা। পুরসভা সূত্রে খবর, বিরোধী দলনেত্রী, সিপিএমের ইলা নন্দীকে প্রথমে মেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছিল। সেই পদ নিতে অস্বীকার করেন তিনি। সে কথা পুর-চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে জানিয়েও দেন। বুধবার ইলাদেবী বলেন, “আমি এর আগে একটি মেলা কমিটিতে ছিলাম। বর্তমান সরকার সেই কমিটিকে মেলা করার অনুমতি দেয়নি। তাই ওই পদে থাকব না।” উল্লেখ্য, এর আগের মেলা কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর আপ্ত সহায়ক জয়কৃষ্ণ ঘোষ। সেই কমিটি এ বার মেলা করার অনুমতি না পাওয়ায় মেলার উদ্বোধনে সিপিএমের কেউ ছিলেন না।
বিধাননগর মেলার সূচনায় আতসবাজির রোশনাই। বুধবার। ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ
কৃষ্ণাদেবী বলেন, “মেলার সংগৃহীত অর্থে এক হাজার আসনবিশিষ্ট রবীন্দ্র-ভবন হবে। বসবে রবীন্দ্র-মূর্তিও।” অনুষ্ঠানে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, বিধায়ক সুজিত বসু, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত প্রমুখ। পার্থবাবু বলেন, “এ বার বিধাননগর মেলা আলাদা মাত্রা পেয়েছে। মঙ্গলবারই বিধান রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান ও নানা অনুষ্ঠানে মেলা শুরু হয়। মেলাকে আত্মিক যোগাযোগের ক্ষেত্র করে তোলাই কমিটির লক্ষ্য।” ফিরহাদের কথায়, “বিধাননগর পুরসভা এ বারই প্রথম এই দায়িত্ব পেল। কিছু ভুল হলে তা অতিক্রম করে এগোতে হবে।” এ বার স্টলের দাম প্রতি বর্গফুটে ১১০ থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা হয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিশর প্রভৃতি দেশের সঙ্গে রয়েছে ভিন্ রাজ্যের স্টলও। মেলা চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এ দিন উদ্বোধনী মঞ্চেই কৃষ্ণাদেবী জানান, এ বার নম্বরের বদলে সল্টলেকের জলের ট্যাঙ্ক চিহ্নিত হবে মনীষীদের নামে। উল্লেখ্য, ১৭টি ট্যাঙ্কের একটি যুবভারতীতে। তাই তার নামকরণ হবে না। বিধানসভা ভোটের আগে-পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সল্টলেকে গিয়ে রাস্তা, আইল্যান্ড ও জলের ট্যাঙ্কের নতুন নামকরণ হবে বলে জানান। সেই অনুযায়ী এ বার রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, শ্রীরামকৃষ্ণ থেকে শুরু করে উত্তমকুমার পর্যন্ত বিভিন্ন নামে ট্যাঙ্কগুলি চিহ্নিত হবে। কৃষ্ণাদেবী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাকেই কার্যকর করছি।” ব্রাত্যবাবু বিধাননগর পুরসভাকে প্রস্তাব দেন, বিধান রায়ের আমলে বিধাননগর তৈরির সময়ে পুরো জমি দান করেন মন্ত্রিসভার সদস্য হেমচন্দ্র কানুনগো। তাঁকেও যেন মনে রাখা হয়। তিনি বলেন, “আমরা যেন ইতিহাসকে মনে রাখি।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.