ইয়াহু-র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার জেরি ইয়াং। নিজের হাতে গড়া এই মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়াও, ইয়াহু জাপান কর্পোরেশন ও আলিবাবা গোষ্ঠীর সব রকম পদ থেকেই ইস্তফা দিলেন তিনি। বুধবার সংস্থার চেয়ারম্যান রয় বস্টককে লেখা এক চিঠিতে ৪৩ বছরের ইয়াং জানান, ইয়াহুর সঙ্গে কাটানো বছরগুলি তাঁর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময়। তবে ভবিষ্যতে অন্যান্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতেই সংস্থা ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত।
১৭ বছর আগে ১৯৯৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই বন্ধু ডেভিড ফিলো-র সঙ্গে মিলে ইয়াহু প্রতিষ্ঠা করেন ইয়াং। সংস্থাটিতে উভয়েরই পদমর্যাদা ছিল ‘চিফ ইয়াহু’। ২০০৭-’০৯ সাল পযর্ন্ত সিইও-র দায়িত্বও সামলেছেন ইয়াং। যদিও এই সময় থেকেই গুগ্ল, ফেসবুক-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছিল সংস্থা। ২০০৮ সালে ইয়াহু কিনতে মাইক্রোসফটের ৪৭৫০ কোটি ডলারের প্রস্তাব ফেরানোর জন্যও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সমালোচনার মুখে পড়েন ইয়াং। খোয়াতে হয় সিইও-র পদও। তার পর ক্যারল বার্টজ সিইও-র দায়িত্ব নিলেও, সংস্থার হাল ফেরাতে পারেননি। যার জেরে গত বছরই চাকরি যায় বার্টজের। এই জানুয়ারির গোড়াতেই স্কট থম্পসনকে সিইও নিযুক্ত করে ইয়াহু।
সংস্থাটিতে ইয়াং-এর অবদান মেনে নিয়েও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে তাঁর এই সিদ্ধান্তে পরোক্ষ ভাবে ইয়াহু-র উপকারই হবে। যার প্রভাব কিছুটা হলেও দেখা গিয়েছে সংস্থার শেয়ার দরে। এ দিন যা বেড়েছে প্রায় ৩%। ইয়াহু-র প্রাক্তন কর্মীদের একাংশের মতেও, বাজার মূল্যে প্রায় ২০০০ কোটি ডলারের এই সংস্থার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তেমন দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ইয়াং। পুরনো ধারণা আঁকড়ে থাকার কারণেই নতুন যুগের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি সংস্থা। তাঁদের দাবি, সব সংস্থাই চায় স্টিভ জোবসের মতো নেতাকে। খাদের ধার থেকেও যিনি ফিরিয়ে আনতে পারবেন হৃত গৌরব। আর ঠিক এই জায়গাতেই ব্যর্থ ইয়াং। |