|
|
|
|
নিম্নমানের কাজের অভিযোগ |
কালভার্ট তৈরির কাজ আটকালেন বাসিন্দারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
রাস্তার উপর কালভার্ট তৈরিতে নিম্নমানের মালমশলা ব্যবহারের অভিযোগ তুলে কাজে বাধা দিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের সুপুর গ্রামের বাঁধের পাড়ায়। গ্রামবাসীদের বাধায় আপাতত ওই কালভার্ট তৈরির বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থা। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই বর্ধমান জেলার গুসকরা স্কুল মোড় থেকে বীরভূমের শ্রীনিকেতন মোড় পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ২বি-র সংস্কারের কাজ চলছে। ওই রাস্তার উপর সুপুর গ্রামের বাঁধের পাড়া এলাকায় একটি কালভার্ট তৈরির কাজ হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস, সমীরণ দাস, মনোজ চক্রবর্তীদের অভিযোগ, “লোহার রডের মান খারাপ। ঢালাইয়ের জন্য তৈরি করা লোহার খাঁচা তৈরির কাজেও গোলমাল রয়েছে। ফলে কালভার্টটি অত্যন্ত নিম্নমানের তৈরি হচ্ছিল।” বাসিন্দাদের বক্তব্য, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাজে নিম্নমানের মালমশলা ব্যবহার হতে দেখেই তাঁরা প্রতিবাদের পথে নামেন। এমনকী তাঁরা কাজ করতেও দেননি। |
|
কাজ বন্ধ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক ২বি-র গুসকরা স্কুল মোড় থেকে শ্রীনিকেতন মোড় পর্যন্ত মোট ২৪ কিমি রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৭ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজের জন্য এ দিন ঢালাই হওয়ারও কথা ছিল। সকালে নির্মাণকর্মীরা ঢালাইয়ের কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাঁদের বাধা দেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। সঠিক ভাবে কাজ না করা পর্যন্ত ঢালাই করা যাবে না। নির্মাণ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশীল দুবের দাবি, “বাসিন্দারা হঠাৎ করে মিথ্যা অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে রাস্কা সংস্কারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, “জাতীয় সড়কের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমরা গত কুড়ি বছর ধরে করে আসছি। কাজের এবং মালমশলার গুণমান বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা সেটা করি। বিষয়টির তদন্ত হলে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন জাতীয় সড়ক ১২-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বি. সরকারও। তিনি বলেন, “বিজ্ঞানসম্মত ভাবে, উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ধরনের কাজ করা হয়। আমরা কাজের উপর নজর রেখেছি। সুপুর গ্রামের বাঁধের পাড়ায় নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে লিখিত অভিযোগও পাইনি। বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি।” তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার, তাঁদের আধিকারিকেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যাবেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। |
|
|
|
|
|