বৃদ্ধা খুনে মহিলা-সহ আটক ৩ |
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রেণু সরকার খুনের ঘটনায় এক মহিলা-সহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ায় নিজের বাড়ির দোতলায় শুক্রবার রাতে খুন হন রেণুদেবী। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাড়িটির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে পুলিশের ধারণা, এই খুন এক জনের কাজ নয়। পুলিশ জানিয়েছে, উজ্জ্বলের মোবাইলের ‘কললিস্ট’ যাচাই করে ওই মহিলার নাম পাওয়া যায়। বীরভূমের পুলিশ সুপারের নির্দেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটের মুড্ডা গ্রাম থেকে মহিলাকে পুলিশ আটক করে। তাঁকে জেরা করে আরও দুই ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। বুধবার তারাপীঠ থেকে আটক করা হয় কবীর হোসেন এবং মঙ্গল সাহানিকে। তদন্তের স্বার্থে আটক মহিলার নাম পুলিশ জানায়নি। পুলিশের দাবি, বোলপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মঙ্গল সাহানির বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশি গ্রেফতারি এড়াতে বছর দুয়েক আগে সে সপরিবার রামপুরহাটে চলে আসে। পরে তারাপীঠে থেকে সব্জির ব্যবসা শুরু করে। অন্য দিকে, বছর আঠারোর কবীরের বাড়ি ময়ূরেশ্বরের মল্লারপুরে। তবে সে নলহাটির হাজারপুরে কাকার বাড়িতে থাকে। মল্লারপুর হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়ে অনুত্তীর্ণ কবীরের সঙ্গেই মূলত আটক হওয়া মহিলার পরিচয় ছিল। তারাপীঠে যাওয়ার সুবাদে কবীরের সঙ্গে মঙ্গলের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে মঙ্গলের সঙ্গেও ওই মহিলার আলাপ হয়। পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে তাদের আটক করা হয়েছে। তিন জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” মঙ্গল আর কবীর অবশ্য দাবি করেছে, “কেন এই মামলায় পুলিশ আমাদের ধরল, বুঝতে পারছি না।”
|
অধ্যক্ষ নিগ্রহে চিহ্নিত ৬ ছাত্র |
ঘটনার এক সপ্তাহ পরে রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ নিগ্রহে ছ’জন টিএমসিপি সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। বুধবার পুলিশ ওই ছ’জনের নাম রামপুরহাট আদালতে জমা দেয়। আজ বৃহস্পতিবার, ওই মামলার শুনানি রয়েছে। তদন্তকারী অফিসারকে উপস্থিত থাকতে বলেছে আদালত। বুধবার, ১১ জানুয়ারি রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষকে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে ওই কলেজেরই কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে। তাঁরা সকলেই টিএমসিপি ও ছাত্র পরিষদের সদস্য-সমর্থক। অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “ওই ছাত্রেরা ক্ষমা চাইলে, আমি মাফ করে দেব। আমি চাই না ওদের ভবিষ্যত নষ্ট হোক।” মূলত এই যুক্তিতেই কোনও ছাত্রের নাম দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও করেননি অধ্যক্ষ। তাঁর অভিযোগ ছিল টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “বিভিন্ন সূত্র থেকে ওই ঘটনায় যুক্ত থাকা ছ’জনের নাম পেয়েছি। তাদের নাম পুলিশ রিপোর্ট হিসেবে আদালতে জমা দিয়েছি। তাদের খোঁজ চলছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ছ’জন ছাত্রই টিএমসিপি-র। তাঁদের নাম অবশ্য পুলিশ জানায়নি। জেলা টিএমসিপি সভাপতি সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ আমাদের সংগঠনের কোনও ছাত্রের নাম আদালতে জমা দিয়ে থাকলে আইনত ভুল করেছে। কারণ অধ্যক্ষ কোনও ছাত্রের নামে অভিযোগ করেননি। আমরা আইনের আশ্রয় নেব।”
|
ট্রাকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ধৃত ৫ |
মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ জাতীয় সড়কে সিউড়ি ও মহম্মদবাজার থানা এলাকায় লোহা বোঝাই একাধিক ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ওই ছিনতাই চক্রে জড়িত অভিযোগে পুলিশ মঙ্গলবার দুই ‘রিসিভার’-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বুধবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক সকলকেই তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দুই ‘রিসিভার’ হলেন সিউড়ির হোটেল ব্যবসায়ী প্রফুল্ল চৌধুরী এবং কড়িধ্যার হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী হিমাংশু ঘোষ। বাকি তিন জন হল মহম্মদবাজারের শেওড়াকুড়ির উজ্জ্বল বাগদি, বাটের বাঁধ গ্রামের লালন শেখ এবং কাপিষ্ঠা-নবগ্রামের প্রশান্ত প্রামাণিক। দুই ‘রিসিভার’-এর ঘর থেকে ছিনতাই হওয়া প্রায় তিন টন লোহা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, দুই ‘রিসিভার’-এর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া লোহা মহম্মদবাজার থেকে ছিনতাই হওয়া ট্রাকের। গত দু’তিন মাসে সিউড়ি ও মহম্মদবাজার এলাকার হাই রোড থেকে তিনটি রডভর্তি ট্রাক ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। পরে ট্রাকগুলি বিভিন্ন রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করা হয়। বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারহাত আব্বাস বলেন, “ট্রাক-সহ লোহা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ হাল ছাড়েনি। গোপনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেই সূত্রেই সাফল্য মিলল।”
|
নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় ১২০টি ক্রাশারে পাথর বোঝাই করার জন্য শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে শ্রমিক-মালিক বিরোধ মিটল না। রামপুরহাট মহকুমা সহকারী শ্রম কমিশনারের নির্দেশে মঙ্গলবার আন্দোলনকারী দুই শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি ও টিইউসিসি এবং তিনটি মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সমাধান সূত্র বের হয়নি। এর ফলে পাথর কেনার জন্য গাড়ি বা ট্রাক ঢুকতে পারছে না। ৫ জানুয়ারি থেকে শ্রমিক-মালিক বিরোধের জেরে এই অচলাবস্থা চলছে। উভয়ই তাঁদের দাবিতে অনড় থাকায় সেই সমস্যা মিটছে না। নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও অচিন্ত্য সিংহ বলেন, “পরিস্থিতি আমার আয়ত্তে নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছেন।”
|
নিয়মিত জলকর দিলেও প্রয়োজনের সময় চাষিরা সেচের জল পাচ্ছেন না। গ্রীষ্ম-বর্ষা সব সময়ই তাঁদের একই অভিজ্ঞতা। জেলা সেচ দফতরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ময়ূরেশ্বরের ঢেকা পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা। এই অবস্থায় ময়ূরাক্ষীর শাখা সেচ খালের সাহায্যে বোরো চাষের প্রয়োজনীয় জল সংগ্রহের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। চাষিদের দাবি প্রসঙ্গে ময়ূরেশ্বর ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ নিতাইপদ ঘোষ বলেন, “চাষিদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। তাঁদের দাবির বিষয়ে জেলা সেচ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।”
|
ঢেকার রাজা রামজীবন দীর্ঘদিন আগে ময়ূরেশ্বরের কলেশ্বরে নির্মাণ করেছিলেন সুউচ্চ এক শিব মন্দির। তারপর থেকে প্রতি বছর শিবচতুর্দশী ছাড়াও প্রায় সারা বছর দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন এই মন্দির দর্শনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কলেশ্বরকে ঘিরে পর্যটক কেন্দ্র গড়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। কিন্তু প্রশাসন নজর দিচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো গ্রামবাসীদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। |