নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
সিটি সেন্টারের অদূরে আবাসন নির্মাণ করা হবে বলে একটি সংস্থার তরফে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল সংবাদপত্রে। ৩০ জানুয়ারি শিলান্যাসের দিনও নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই সেই সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করলেন আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন (এডিডিএ) কর্তৃপক্ষ। এডিডিএ-র অভিযোগ, বেআইনি ভাবে তাদের জায়গা দখল করে আবাসন নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে ওই সংস্থা। সংস্থা সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, জায়গাটি তাদেরই। সেই সংক্রান্ত নথিপত্রও এডিডিএ দফতরে শীঘ্রই জমা দেওয়া হবে বলে তাদের দাবি।
এডিডিএ সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে একটি নির্মাণ সংস্থা এডিডিএ-র ওই জায়গায় আবাসন গড়ার পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত তারা সরে দাঁড়ায়। গত কয়েক বছর জায়গাটি ফাঁকা পড়েছিল। হঠাৎই দুর্গাপুজোর সময়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি সংস্থা জানায়, ওই জায়গায় একটি আবাসন প্রকল্প গড়া হবে। নড়েচড়ে বসেন এডিডিএ কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটিকে নোটিসও পাঠান তাঁরা। কিন্তু সংস্থাটি তাঁদের নিজেদের স্বপক্ষে নথিপত্র দেখাতে পারেনি। দিন কয়েক আগেও ফের নোটিস পাঠানো হয় তাদের। |
এই জায়গাতেই আবাসন গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র। |
কিন্তু সে বারও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে দাবি এডিডিএ কর্তৃপক্ষের। এর পরেই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জায়গাটি এডিডিএ-র। অথচ ওই সংস্থা তা নিজেদের বলে দাবি করছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সন্তোষজনক কাগজপত্রও তারা দেখাতে পারেনি। তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই এডিডিএ-র যে সমস্ত জায়গা জবরদখল হয়ে গিয়েছে সেগুলি দখলমুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। এর পরেও যদি কেউ ওই সংস্থার আবাসন কিনতে চান, তিনি বিপাকে পড়তে পারেন বলে জানান তাপসবাবু।
এ দিকে অভিযুক্ত সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, তাদের ১৭.৩ একর জায়গা রয়েছে। সেখানেই নির্মাণ হবে বলে ঠিক হয়েছিল। বিজ্ঞাপনে শুধু আবাসন নির্মাণের কথা বলা হলেও, একই সঙ্গে একটি ১২০০ শয্যার হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনাও তাদের ছিল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থার আধিকারিক নির্মাল্য মণ্ডল বলেন, “প্রায় সাড়ে ছ’শো কোটি টাকা ব্যয়ে ওখানে একটি দাতব্য হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।” এডিডিএ বাধা দিলে হাসপাতাল অন্যত্র চলে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁরা কেন জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র এডিডিএ-র কাছে দাখিল করছেন না, সে প্রশ্নে নির্মাল্যবাবু বলেন, “জায়গাটির মালিকানা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। সরকারি নথিতে তার স্পষ্ট উল্লেখ আছে। এডিডিএ-র কাছে যথা সময়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দাখিল করা হবে।” |