রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারের দুঃস্থ বিচারাধীন বন্দিদের নিখরচায় আইনি সাহায্য দেবে উত্তর দিনাজপুর জেলা শিশু কল্যাণ কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে কমিটির এক প্রতিনিধি দল সংশোধনাগার পরিদর্শন করার পরে ওই কথা ঘোষণা করেছে। এদিন কমিটির সদস্যরা সংশোধনাগার পরিদর্শন করার পাশাপাশি বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের ভূমিকার প্রশংসা করেন। কমিটির কার্যকরী সদস্য তথা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশি বন্দি-সহ সংশোধনাগারের শতাধিক বিচারাধীন বন্দি টাকার অভাবে আদালতে সঠিক বিচার পাচ্ছেন না। ফলে বিনা বিচারে তাঁরা বছরের পর বছর সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন। কমিটির তরফে তাঁদের নিখরচায় আইনি সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত মিলিয়ে ২৫১ জন বন্দি রয়েছেন। অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত মিলিয়ে মোট ৯১ জন বাংলাদেশি বন্দি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬ জন মহিলা বন্দিও রয়েছেন। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বিচারাধীন মহিলা বন্দিদের ২ থেকে ৫ বছর বয়সী ৩ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে রয়েছে। এদিন কমিটির সদস্যরা ওই শিশুদের চিকিৎসা, খাওয়াদাওয়া, পোশাক ও পড়াশুনার ব্যাপারে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি, দুঃস্থ বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বহু বন্দি এদিন তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্যদের কাছে আর্জি জানান। কমিটির চেয়ারপার্সন সুনীলকুমার ভৌমিক বলেন, “কমিটির তরফে দুঃস্থ বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের নিখরচায় আইনি সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপারে সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই এমন ব্যবস্থা হচ্ছে। সংশোধনাগারে বন্দিরা ভালই আছেন। তাঁদের কল্যাণমূলক সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের প্রশংসা করছি।” সংশোধনাগারের ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট দেবাশিস পাল বলেন, “বন্দিদের পড়াশুনা, খাওয়াদাওয়া ও চিকিৎসার ব্যাপারে একাধিক উদ্যোগের বিষয়টি সবিস্তারে কমিটির সদস্যদের জানানো হয়েছে। দুঃস্থ বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের আইনি সাহায্য ও তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপারে কমিটির সদস্যরা উদ্যোগী হওয়ায় আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।” |