রাধামাধব বিদ্যায়তনের মাঠে কোন মেলার অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। সম্প্রতি বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানভূম মেলা ও বই মেলা কমিটি তাদের নবম বর্ষের অনুষ্ঠান বিদ্যায়তনের মাঠে করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। এই মেলা হওয়ার কথা ৩১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি অবধি। ২২ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি অবধি ওই মাঠে রাঙ্গামাটি মিলন মেলা কমিটি মেলা করতে চেয়ে আবেদন জানান। পরিচালন সমিতি সুত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসী মেলা কমিটির পক্ষে আবার ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি ওই মাঠে মেলা করার আবেদন জানানো হয়। বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সম্পাদক চণ্ডীদাস বন্দোপাধ্যায় বলেন, “সম্প্রতি পরিচালন সমিতির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে মেলা করার জন্য স্কুলের মাঠ ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের শিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুলের ছুটির তালিকা এসেছে। ওই তালিকার অতিরিক্ত কোন ছুটি দেয়া যাবে না। সমিতির সভাপতি বিশ্বম্ভ্রর নারায়ন দেব বলেন, “এই মাঠে এতো মেলা হলে স্কুলের পঠন পাঠন ব্যহত হবে। তাই মাঠ ব্যবহার করার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। মেলা কমিটি গুলি জানিয়েছেন তারা মেলার মাঠ বদল করেছেন।
|
জেলাস্তরের যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় জেলা থেকে চ্যাম্পিয়ন হল পুরুলিয়া শান্তময়ী বালিকা বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে বিবেকানন্দ নগরে জেলা শিক্ষক-শিক্ষণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (ডায়েট) এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চ্যাম্পিয়ন বিদ্যালয় ছাড়াও ঝালদা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মানবাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বলরামপুর শ্রীভজনাশ্রম উচ্চবিদ্যালয়, রঘুনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় ও পারবেলিয়া কোলিয়ারি উচ্চবিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি বলেন, “জেলার ১১২টি বিদ্যালয়ের ২২০০ ছাত্র-ছাত্রী পরিষদীয় বিষয়ক দফতর আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। আগামী ২১-২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।” ক্যুইজে বরাবাজারের বরাভূম উচ্চবিদ্যালয়ের সোমনাথ পাণ্ডা ও সম্বিৎ ত্রিপাঠী এবং বলরামপুর ফুলচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আকিক মাহাতো ও গায়ত্রী মিশ্র জেলা থেকে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে বলেও উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।
|
বিয়ে রুখে দেওয়া পুরুলিয়া জেলার ছ’জন নাবালিকার পাশে দাঁড়াল একটি ব্যাঙ্ক। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের সংবর্ধনা দিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা করিয়ে দেয়। দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকার জেনারেল ক্রেডিট কার্ড। স্বাবলম্বি হওয়ার জন্য ভবিষ্যতে এই কার্ড দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে অল্প সুদে তারা ঋণ পাবে। রেখা কালিন্দী, সুনীতা মাহাতো, মুক্তি মাঝি ও সঙ্গীতা বাউরিরা উপস্থিতি ছিল। আফসানা খাতুন ও বীণা কালিন্দীরা দিল্লিতে থাকায় তাঁদের পরিবার এসেছিলেন। ছিলেন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রানা মজুমদার, সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তপতী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
|
পুরুলিয়ার জুবিলি ময়দানে শুরু হল সবলা মেলা। মঙ্গলবার মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিলাসীবালা সহিস, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) জয়ন্তকুমার আইকত, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মপ্রভানন্দ প্রমুখ। মেলা চলবে ২৩ জানুয়ারি অবধি। জেলার মহিলাদের নিয়ে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আর্থিক মানোন্নয়ন ও তাদের বানানো পণ্যের বিপণনের জন্য এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় দোকান দিয়েছে ২০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মহিলাদের নিয়ে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য রাজ্য সরকার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। এই প্রকল্প থেকে গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। শান্তিরামবাবু আরও বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্যে জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা আছে”।
|
মাওবাদীদের হামলায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ দিল জেলা সমাজকল্যাণ দফতর। মঙ্গলবার পুরুলিয়াতে দফতরের কার্যালয়ে মাওবাদীদের হাতে খুন হওয়া বাগমুণ্ডি থানার শুকরিডোবা গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ মুড়ার স্ত্রী প্রমীলা দেবীর হাতে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি রবীন্দ্রনাথবাবুকে পুলিশের চরবৃত্তির অজুহাতে খুন করে মাওবাদীরা।
|
ক্ষতবিক্ষত একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে ওই শিশুর দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ দিন সকালে গিয়ে দেখা যায় দশ বারো বছরের শিশুটি পড়ে রয়েছে। গলার মাংস খোবলানো। পাশে শিশুটির ব্যবহৃত পোশাক, থলে স্যালাইনের বোতল। মানবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিত সিং হাঁসদা বলেন, “ওই শিশুটির দেহ বাইরের কেউ ফেলে গেছে। ওই শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল না। পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে। |