লোবা অঞ্চলে প্রস্তাবিত খোলামুখ কয়লাখনি গড়তে আসা ডিভিসি-এমটা কোল মাইনস লিমিটেডের হয়ে পুলিশ দিনে ও রাতে নিরীহ মানুষের উপরে অত্যাচার করছে, এই অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে দুবরাজপুর থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখাল কৃষি জমি রক্ষা কমিটি। দুবরাজপুর থানা রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হওয়ায় বিক্ষোভ দেখানোয় ওই রাস্তায় কিছুক্ষণ যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। প্রসঙ্গত, দুবরাজপুরের ওই জায়গায় কয়লা খনির জন্য এলাকার জমি কেনার পদ্ধতিকে ঘিরে একাধিক অভিযোগ তুলে ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কয়লাখনি গড়তে আসা সংস্থার মাটি কাটার যন্ত্র আটকে রাখেন এলাকাবাসীর একাংশ এবং কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। সেই যন্ত্রটি এখনও পর্যন্ত তাঁরা আটকে রেখেছেন। অভিযোগ ছিল, এলাকার মানুষ ও স্থানীয় লোবা পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে এবং পুনর্বাসন প্যাকেজ ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই সংস্থা বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জমি কিনে কাজ শুরু করতে চেয়েছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ডিভিসি-এমটা দাবি করেছিল, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার পরে জেলাশাসকের সামনে বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমি কিনেছেন তাঁরা। |
কৃষি জমি রক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য ফেলারাম মণ্ডল বলেন, “মাটি কাটার যন্ত্র আটকে রাখা যদি আইন বিরুদ্ধ হয় তা হলে, এলাকাবাসীর একটা বড় অংশের সঙ্গে আলোচনা না করে বিক্ষিপ্ত কিছু জমি কিনে যন্ত্র বসিয়ে খনন কাজ করাও বেআইনি।” দু’পক্ষই প্রশাসনের কাছে তাদের বক্তব্য জানিয়েছিল।ফেলারামবাবুর অভিযোগ, “শুধুমাত্র আমাদের সদস্য ও গ্রামবাসীদের উপরে অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে পুলিশ ওই যন্ত্রটিকে ছাড়াতে চাইছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন জনের নামে মামলা করেছে। তার প্রতিবাদে এই অবস্থান-বিক্ষোভ।” দুবরাজপুর পুলিশের দাবি, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁরা বা তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। |