টুকরো খবর |
বৃদ্ধা হত্যায় ‘কললিস্ট’ খতিয়ে দেখছে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
|
শান্তিনিকেতনে বাগানপাড়ার বাড়িতে ফরেন্সিক দল। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী |
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রেণু সরকার কেন খুন হয়েছিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না মঙ্গলবারেও। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার পর থেকেই রেণুদেবীর মোবাইলের খোঁজ মিলছে না। ফোন করলে সেটি ‘স্যুইচ অফ’ বলছে। মোবাইলের আইএমইআই নম্বর জেনে সেটির হদিস পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তে এ দিন শান্তিনিকেতনে আসেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ। তিনি খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত ও পুলিশি হেফাজতে থাকা কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদারকে জেরা করেন। বোলপুরের এসডিপিও দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ করে আইজি চলে যান ঘটনাস্থলে। পরে আইজি বলেন, “তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে। তবে কী উদ্দেশ্যে খুন, এক বা একাধিক ব্যক্তি এই খুনে জড়িত কি না, তদন্তের স্বার্থে তা বলা সম্ভব নয়।” এ দিনই কলকাতা থেকে আসা তিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ বাগানপাড়ায় রেণুদেবীর বাড়ির দোতলার ঘর থেকে ছবি ও নমুনা সংগ্রহ করেন। রক্ত লেগে থাকা বালিশ, বিছানা, চাদরের ছবি তোলা হয়। খাটের নীচে রেণুদেবীর পায়ের চটি কেন উল্টোপাল্টা ভাবে রাখা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “আমরা খুনের ঘটনার কিনারা করার দিকে অনেকটাই এগিয়েছি। খুনের সময়ের ঠিক আগে রেণুদেবীর সঙ্গে যাঁদের মোবাইলে কথোপকথন হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গেও আমরা কথা বলছি। আশা করছি, তাঁর মোবাইল ফোনটির সন্ধানও শীঘ্রই মিলবে। তবে রেণুদেবীর ‘কললিস্ট’ আমাদের হাতে এসেছে। তা থেকে কিছু সূত্র মিলেছে।” ধৃত উজ্জ্বলের মোবাইলের ‘কললিস্ট’-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
|
ডাম্পারের ধাক্কা, মৃত্যু স্কুল ছাত্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
রাস্তা পার হওয়ার সময়ে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রের। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি বাইপাসে মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অর্ক চট্টোপাধ্যায় (১৫)। বাড়ি সিউড়ির ডাঙাল পাড়ায়। সে জেলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। অর্কর বাবা সিউড়ি পুরসভার কর্মী রজতবাবু বলেন, “বিকেল তিনটে নাগাদ এক বন্ধুর ফোন আসে। আমি ওকে যেতে না করেছিলাম। কিন্তু ও শোনেনি। সাড়ে ৪টে নাগাদ ছেলের দুর্ঘটনার খবর পাই। সঙ্গে-সঙ্গে ছুটে যাই। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে।” পুলিশ জানায়, ডাম্পার নিয়ে চালক পালিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
|
ব্যবসায়ীদের স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
বিনা নোটিসে সিটু অনুমোদিত বীরভূম জেলা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠনের একটি দোকান ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে রামপুরহাট মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দিলেন সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ, সোমবার রাতে একটি দোকান ভেঙে দিয়েছেন খোদ মহকুমাশাসক। বিনা নোটিসে ভেঙে দেওয়ার জন্য নতুন করে দোকান তৈরি করে দেবার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের আরও দাবি, ভবিষ্যতে পুনর্বাসন ছাড়া ফুটপাতের কোনও দোকান বিনা নোটিসে উচ্ছেদ করা চলবে না। রামপুরহাট মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “ওখানে কোনও দোকান আমি দেখতে পাইনি। কতকগুলো বাঁশ দিয়ে খলফা টাঙানো ছিল। রাস্তার ধারে মহকুমা ডাকবাংলোর দেওয়ালে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বাঁশ দিয়ে তৈরি কোনও কিছু থাকাটা বেআইনি। তাই আমি ওটাকে ভেঙে দিয়েছি।”
|
স্ত্রী খুনে যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
বধূকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্বামীর। মঙ্গলবার আদালতের ফাস্ট ট্রাক তৃতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মানস বসু এই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আলিমুদ্দিন শেখের বাড়ি মুরাই থানার বনরামপুরে। সরকারি আইনজীবী উৎপল মুখোপাধ্যায় জানান, ২০০৮ সালে ১৫ নভেম্বর বনরামপুরে একটি পুকুর থেকে সীমা বিবি (২৩) নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার হয়। সীমাদেবীর বাবা মুরারই থানার মহুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা মদেশ্বর শেখ ওই দিন মুরারই থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রমান লোপের জন্য দেহটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি জামাই আলুমুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে আদালত আলিমুদ্দিন শেখকে দোষি সাব্যস্ত করে এ দিন খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
|
নিখোঁজ ব্যবসায়ী
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
ক্রাশার ও খাদান এলাকায় যাচ্ছি বলে বেরিয়ে সোমবার সকাল থেকে খোঁজ মিলছে না নলহাটির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক রোডের বাসিন্দা সাকের আলির। তিনি পেশায় পাথর ব্যবসায়ী। তাঁর পরিবারের তরফে সোমবার রাতে নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যবসায়ীর খোঁজ চলছে। তবে মঙ্গলবার নলহাটি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁর মোটরবাইক উদ্ধার হয়েছে। নলহাটি থানার লখনামারা এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর খাদান ও ক্রাশার আছে। ব্যবসার অংশীদার করিমপুর এলাকার বাসিন্দা সাজেদ আলি বলেন, “রবিবার সকালে কথা হয়েছিল। সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত আমি ক্রাশার ও খাদানে ছিলাম। তখনও পর্যন্ত সাকের আসেনি। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেনি দেখে তাঁর স্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেন।” তিনি জানান, খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে শেষে থানায় ডায়েরি করেন।
|
বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতার নাম বেলা পত্রধর (৫৯)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে বোলপুর থানার সিয়ান-সাহাজাপুরের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলাদেবী এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করতেন। গত দু’দিন ধরে তিনি ওই ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করতে যাননি। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়িতে খোঁজ করতে এসে বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের বড় ছেলে অবিরাম পত্রধর জানান, সিয়ান-সাহাজাপুরের বাড়িতে তাঁর মা এবং মানসিক প্রতিবন্ধী ভাই সীতারাম থাকতেন।
|
কলেজে নিয়োগের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
|
অধ্যক্ষের কাছে ছাত্ররা। নিজস্ব চিত্র |
স্থায়ী ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিলেন কলেজের পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন বিভাগের ছাত্ররা। রয়াসন বিভাগের ছাত্রদের অভিযোগ, দু’জন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট দরকার। সেখানে এক জনও নেই। অস্থায়ী কর্মীদের নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। অধ্যক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও লাভ হয়নি। অন্য দিকে, পদার্থবিদ্যার ছাত্রদের দাবি, তাদের ল্যাবে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলি পরিবর্তন করা দরকার। পুরনো দিনের সরঞ্জাম কাজে লাগছে না। এই বিভাগেও স্থায়ী ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট নেই। তাঁদের অভিযোগ, যিনি আছেন তাঁকে অধ্যক্ষ কলেজের গেটে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই অবস্থা আমারও ভাল লাগছে না। দুই বিভাগের প্রধানকে ডেকে খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
|
স্কুলে অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গলবার মুরারই গৌরাঙ্গিনী বালিকা বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংসদ শতাব্দী রায়। তিন দিন ধরে অনুষ্ঠান চলবে। উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ-সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষিকা অন্বেষা দত্ত বলেন, “প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন, প্রাক্তন ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের সম্বর্ধনা-সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।” |
|