টুকরো খবর
স্ত্রী-র ঘাড়ে দোষ চাপাল খোঁড়া বাদশা
বিষমদ কাণ্ডে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী নূরজাহান ওরফে শাকিলার ঘাড়েই সব দোষ চাপাল খোঁড়া বাদশা। সিআইডি-র গোয়েন্দারা মঙ্গলবার জানান, বাদশা জেরার মুখে জানিয়েছে, মদে যে বিষ মেশানো হত, তা সে জানতই না। এই ব্যাপারে যদি কিছু জানার থাকে, তবে সেটা তা তার স্ত্রীই জানে। গোয়েন্দাদের দাবি, জেরার সময় বাদশাকে জানানো হয়, তার বাড়ি থেকে দিন কয়েক আগে এক ধরনের রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে। সেই রায়ানিকই চোলাই মদে মিশিয়ে তার শক্তি বাড়ানো হত বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। গোয়েন্দাদের দাবি, বাদশা তখন জানায়, বাড়িতে যে রাসায়নিক মজুত ছিল, তা তার জানাই ছিল না। ওই বিষয়টি তার স্ত্রী নূরজাহান-ই দেখত বলে বাদশা গোয়েন্দাদের জানায়। জেরায় বাদশা জানায়, বিভিন্ন ভাটি থেকে চোলাই মদ আনাই তার কাজ ছিল। পরের প্রক্রিয়াগুলির উপরে নজর রাখত নূরজাহান। তাকে সাহায্য করত তার ছেলে এবং নূরজাহানের এক ভাই।
সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশন) কালিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “বাদশা জেরায় যা জানিয়েছে, তা কতটা ঠিক তা যাচাই করা হবে।” গোয়েন্দারা জানান, নূরজাহান এখন জেল হেফাজতে। বাদশা ঠিক কথা বলছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য দরকারে আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই মহিলাকে ফের জেরা করা হবে। বিষমদ খেয়ে ১৭২ জন মানুষ মরে যাওয়ার খবর পেয়ে কী করেছিল বাদশা? গোয়েন্দাদের দাবি, জেরায় বাদশা জানায়, ওই ঘটনায় তাকেই মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে জানতে পেরে, সে গা ঢাকা দেয় বিহারে। সেখানে এক পরিচিতের বাড়িতে কিছু দিন কাটানোর পরে সে পাততাড়ি গুটিয়ে অজমেঢ় শরীফে চলে যায়। দিন কয়েক আগে সে ডায়মন্ডহারবারে আসে। যোগাযোগ করে আইনজীবীর সঙ্গে। আইনজীবীর পরামর্শেই সে আদালতে আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত শিশু
পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু হল বছর তিনেকের এক শিশুর। মঙ্গলবার, টিটাগড় থানার বি টি রোডের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পে। পুলিশ জানায়, সকাল ১০টা নাগাদ পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে ঢুকে কন্টেনার-বোঝাই ১২ চাকার একটি লরি পাঁচিলে ধাক্কা মারে। লরিতে থাকা কন্টেনার ছিটকে পড়ে পাঁচিলের উপরে। সে সময়ে পাঁচিলের অন্য দিকে খেলছিল স্থানীয় চটকলের কুলি লাইনের কয়েকটি শিশু। পাঁচিলের একাংশ ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিট্টু সাউ নামে এক শিশুর। বাকি তিন শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ দিকে, এই ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। এর জেরে সাময়িক যানজট হয় বি টি রোডে। টিটাগড় থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামলায়। লরিচালক গ্রেফতার হয়েছে।

দুর্ঘটনায় জখম
মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন এক মহিলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন জীবনতলা থানার ওসি রতন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে ওই দুর্ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে তালদি সুরবালা গার্লস হাইস্কুলের সামনে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন উত্তর তালদির বসিন্দা মনিকা পাল। রাস্তায় সার্কাসের একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারলে তিনি ছিটকে পড়েন। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে ঘুটিয়ারিশরিফ থানায় যাচ্ছিলেন জীবনতলা থানার ওসি রতন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একটি গাড়ি মনিকাদবীকে ধাক্কা মারলে তিনি পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিকে ধরে ফেলি। মহিলাকে ক্যানিং হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।” পরে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যানিংয়ের এসডিপিও পিনাকীরঞ্জন দাস বলেন, “গাড়ির চালক রবি গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাড়িও আটক করা হয়েছে।”

ধর্ষণ করে খুন কিশোরীকে
হাসনাবাদের রূপমারি গ্রামে একটি মাঠের মধ্যে থেকে এক কিশোরীর প্রায় নগ্ন দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। দু’দিন কেটে যাওয়ার পরেও তার কোনও পরিচয় জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বছর সতেরোর ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে দু’দিন আগে রূপমারিতে বিরাট মেলা বসেছিল। সেখানে মোরগ লড়াই দেখতে বহু দূর থেকেও মানুষ এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মেলা দেখতে আসা মেয়েটিকে কেউ ভুল বুঝিয়ে নির্জন মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচার করে পালায়। পুলিশ জানায়, এ দিন বিকেলে গ্রামের মেয়েরা গোবর কুড়োতে গিয়ে মাঠের মধ্যে পুকুরের ধারে কিশোরীকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। পুকুর পাড়ে তার জামাকাপড় পড়ে ছিল।

গঙ্গাসাগরের জন্য নয়া পরিকল্পনা
গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রীদের বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য দিতে রাস্তা তৈরি থেকে আরও একটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ-সহ একটি রূপরেখা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন দফতর এবং প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তা চূড়ান্ত করা হবে। কচুবেড়িয়া থেকে মেলা প্রাঙ্গণের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। জনস্বাস্থ্য কারিগরি এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, ওই রাস্তাটিকে অশ্বখুরের আকৃতি দিয়ে দু’দিক দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হলে যাত্রীদের সুবিধা হবে। এখন তীর্থযাত্রীরা স্থায়ী জেটি হিসাবে কেবল এক নম্বর জেটি পাচ্ছেন। এর পরে চার নম্বর জেটিকেও স্থায়ী করার কথা হচ্ছে। সেটা হলে ভাটার সময় তীর্থযাত্রীদের আর অপেক্ষা করতে হবে না। এ ছাড়া লট ৮ জেটিঘাটের কাছে বাঁধানো বাস টার্মিনাস করার পরিকল্পনা হয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগানের প্রশ্নে সুব্রতবাবু বলেন, “জেটির স্থায়ীকরণে খরচ হবে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার মতো। পুরো পরিকল্পনা রূপায়িত করতে কত খরচ হবে তার সমীক্ষা করা হবে। জেলা পরিষদ, সেচ, পঞ্চায়েতকারা কোন কাজ কতটুকু করতে পারবে, বৈঠকে তা ঠিক করা হবে।” সুব্রতবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রাথমিক কথা হয়েছে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখের সঙ্গেও এ দিন মহাকরণে কথা বলেন সুব্রতবাবু।

‘ভূত তাড়াতে’ মার, গ্রেফতার দুই ওঝা
ওঝাদের মারধরে আহত এক দম্পতিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হল। সোমবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার মহেশপুরে এই ঘটনার পরে পুলিশ সুরেশ প্রধান ও দূতকুমার মণ্ডল নামে ওই দুই ওঝাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, জয় ও খুকু হাজরা নামে ওই দম্পতিকে ‘ভূতে ধরেছে’ বলে আত্মীয়েরা ওঝাদের ডাকেন। জয়বাবুর ভাই স্বপনবাবু বলেন, “দাদাকে ভূতে ধরেছে ভেবে দুই ওঝাকে ডাকা হয়। কিন্তু ওদের মারে দাদা-বৌদি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন থানায় খবর দিয়েছিলাম।” মঙ্গলবার আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

জল নিয়ে সংঘর্ষ
কল থেকে জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দল মহিলার ধস্তাধস্তি বেধেছিল। দ্রুত তাতে রাজনীতির রঙ লাগে। সিপিআই এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও মারামারি বেধে যায়। দু’পক্ষের পাঁচ মহিলা-সহ জখম ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির আরামবাগের মানিকপাট গ্রামে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নামে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের এক ‘নিরীহ সমর্থক’ পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন বলে ওই দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তাঁকেও ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।

গুদামে আগুন
আগুনে পুড়ে গেল কাগজের প্যাকিং বাক্সের একটি গুদাম। সোমবার রাতে, ব্যারাকপুর-বারাসত রোডের ধারে বিড়লা গেটের কাছে। দমকল জানিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ গুদামে আগুন লাগে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন মঙ্গলবার ভোরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।

মন্দিরে চুরি
মন্দিরের গ্রিলের গেট ভেঙে ফের চুরি গেল বিগ্রহের গয়না ও নগদ টাকা। এ বার সোদপুরের এইচ বি টাউনে। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে স্থানীয় বাস্তুহারা বাজার সমিতির একটি মন্দিরে ঢুকে চোরেরা প্রণামীর বাক্স ভেঙে টাকা চুরি করে। এর পরে বিগ্রহের গা থেকে সব গয়না খুলে নেয়। তবে পুলিশের টহলদারি সত্ত্বেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.