কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় রেললাইনের ধারের জমিতেই তৈরি হয়েছে শৌচালয়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন হাবরা-শিয়ালদহ শাখার মছলন্দপুরের বাসিন্দাদের একাংশ। ‘অনুমতি’ নিয়ে কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন মছলন্দপুরের স্টেশন ম্যানেজার দিলীপকুমার কর্মকার।
কাজটা যে ‘আইনি’ হয়নি, সে কথা মেনে নিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত হাবরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনও। তিনি বলেন, “এটা যে রেলের জায়গা, তা আগে বুঝতে পারিনি। তবে মানবিক কারণে এগুলি তৈরি করা হয়েছে।” অন্য দিকে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেন, “আইন মেনে এগুলি তৈরি হয়েছে কিনা, তা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” দিলীপবাবু জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে জিআরপি এবং আরপিএফকে। তারা বিষয়টি দেখছে। |
পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আপ লাইনের ধারে সার্বিক শৌচালয় প্রকল্পের টাকায় তৈরি হয়েছে ১৬টি শৌচালয়। এগুলির জন্য বিপিএল তালিকাভুক্ত উপভোক্তাকে খরচ করতে হয় ৩০০ টাকা। মোট খরচ ৩২০০ টাকা। স্থানীয় একটি সংস্থাকে শৌচালয় নির্মাণের বরাত দিয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতি। সমিতির সভাপতি জানান, মছলন্দপুর-স্বরূপনগর রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শীঘ্রই শুরু হওয়ার কথা। সে জন্য অনেককে ওই এলাকা থেকে উঠে যেতে হবে। তাঁদের স্বার্থেই শৌচালয়গুলি বানানো হয়েছে। হাবরা ১ ব্লকে এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই ১৬ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। যাঁদের জন্য এগুলি তৈরি, রেললাইনের পাড়ের সেই বাসিন্দারা স্বভাবতই এই উদ্যোগে খুশি।
এলাকাটি মছলন্দপুর ১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। কিছু দিন আগেই এই এলাকা ‘নির্মল পঞ্চায়েত’ বলে চিহ্নিত হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের কল্পনা বসু বলেন, “ন্যায়-অন্যায় দিয়ে এর বিচার করা ঠিক হবে না। রেলের জমি আগেই দখল হয়ে গিয়েছিল। সে সব মানুষকে সুবিধা করে দিতেই মানবিক কারণে এগুলি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।” তৃণমূলের হাবরা ব্লক সভাপতি অজিত সাহা আবার বলেন, “ভবিষ্যতে এগুলি সরিয়েও দেওয়া হতে পারে।” |