বিরাট দিঘি। অথচ ব্যবহারের অযোগ্য। এমনই অবস্থা ক্যানিংয়ের মাতলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর দিঘি ওরফে ‘বড় দিঘি’র।
দিঘির নাম থেকেই গ্রামের নাম ‘৭ নম্বর দিঘির পাড়’। প্রায় ১০ হাজার মানুষের বাস। স্নান করা থেকে ঘরের কাজের জন্য গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ওই দিঘির উপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার ফলে কচুরিপানায় ছেয়ে গিয়েছে দিঘিটি। ফলে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। অন্য দিকে ক্যানিং বাজার সংলগ্ন হওয়ায় মাছ ব্যবসায়ী থেকে সব্জি ব্যাবসায়ীরাও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে দিঘির জল ব্যবহার করতেন। তাঁরাও পড়েছেন সমস্যায়। |
স্বভাবতই ক্ষোভ বাড়ছে এলাকার মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর নাথ, বুদ্ধ হাজরা বলেন, ১০৪২ দাগের ওই দিঘির আয়তন ৩৩ বিঘা। ওই দিঘি সংস্কারের ব্যাপারে পঞ্চায়েতের কোনও হেলদোল নেই। কিছুদিন আগে পানা পরিষ্কারের কাজ শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আবার পানা ভর্তি হয়ে গিয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দা বিজলি হালদার, শিখা হালদার বলেন, “আমরা কাপড় কাচা, স্নান করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে দিঘির উপর নির্ভরশীল। দিঘি সংস্কার না হওয়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়েছি। এমনকি ওই জলে স্নান করলে দেখছি চর্মরোগ হচ্ছে।”
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মাতলা-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সবিতা বিশ্বাস বলেন, “আমরা আসার পর ওই দিঘি দু’বার সংস্কার করেছি। ২০১১ সালের জুলাই মাসে জেলা পরিষদে টাকার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। সেইমতো সেপ্টেম্বর মাসে ৯৭হাজার টাকা আসে। ওই টাকায় যতটা সম্ভব কাজ করেছিলাম। আর টাকা না পাওয়ায় পুরো কাজ করা যায়নি। ফলে আবার কচুরিপানায় ভর্তি করা হয়ে গিয়েছিলাম। নতুন করে আমরা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও মহকুমাশাসককেবিষয়টি জানিয়েছি।” সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে ১০০ দিনের প্রকল্পে দিঘি সংস্কারের কাজ হবে।” মহকুমাশাসক শেখর সেন জানান, সরকারি কোনও প্রকল্পে দিঘিটির সংস্কার করা যায় কি না দেখা হচ্ছে। |