|
|
|
|
স্কলারশিপে বঞ্চিত মেধাবী স্কুলছাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
স্কলারশিপ পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পরে তিন বছর কেটে গেলেও সরকারি অনুদানের টাকা পেল না পটাশপুরের পঁচেটগড় হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্রী পূজা বেরা। মেলেনি শংসাপত্রও। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরেও এই নিয়ে বহু বার চিঠি পাঠিয়েছেন স্কুল কতৃর্পক্ষ। কাজ হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দীপঙ্কর রায় বলেন, “কাগজপত্র নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেখা করতে বলেছি। কেন ওই ছাত্রী এতদিনেও অনুদানের টাকা পেলেন-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ‘সেন্ট্রাল অ্যান্ড মিডল স্কলারশিপ’ পরীক্ষা দিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী পূজা। ২০০৯ সালে ফলপ্রকাশ হয়। ওই বছরই ২০ অগস্ট রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, পূজা স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক শক্তিপদ বেরা জানান, স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শংসাপত্র ছাড়া এককালীন পাঁচ হাজার টাকা, চার বছর ধরে প্রতি মাসে ৭৫ টাকা আর্থিক সাহায্য মেলে। স্কুলের টিউশন ফি-ও মকুব করে দেওয়া হয়। কিছুই পায়নি পূজা। এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে। পূজা বলে, “আর্থিক সাহায্যটা বড় কথা নয়। আমি মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ ওই শংসাপত্রটা চেয়েছিলাম। কিছুই পেলাম না।” আর শক্তিপদবাবু বলেন, “স্কুলের তরফে বহু বার বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এমনকী সশরীরেও গিয়েছি। লাভ হয়নি। কৃতীদের সঙ্গে এটা এক ধরনের প্রতারণা। তেমন হলে আমরা আদালতে যাব।” |
|
|
|
|
|