|
|
|
|
হবে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ |
সশক্তিকরণ কর্মসূচিতে ঠাঁই ৮৩৯টি পঞ্চায়েতের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কাজের বিচারে প্রশংসা কুড়িয়ে সশক্তিকরণ কর্মসূচির আওতায় এল পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত। নির্বাচিত পঞ্চায়েতগুলি পেতে চলেছে বাড়তি ৭ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। বরাদ্দ অর্থে খুব শীঘ্রই ওই সব পঞ্চায়েতে উন্নয়নের ‘কর্মযজ্ঞ’ শুরু হবে বলে জানিয়েছে জেলা পরিষদ। সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বরাদ্দ বাড়তি অর্থে পঞ্চায়েতগুলিতে সার্বিক উন্নয়নের কাজ হবে।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, সশক্তিকরণ কর্মসূচির আওতায় রাজ্যের ৯টি জেলার সব মিলিয়ে ৮৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এ বার অনুদান পাওয়ার যোগ্যতামান অর্জন করেছিল। কিন্তু ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের খসড়া পরিকল্পনা জমা না দেওয়ায় অনুদান পাচ্ছে না। যোগ্যতামান অর্জন করা সত্ত্বেও নদিয়া জেলার শিবনিবাস, বীরভূমের পাইকর-১ এবং বর্ধমানের অমরপুর---এই ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত খসড়া উন্নয়ন পরিকল্পনা জমা দেয়নি। ফলে, সব মিলিয়ে ৮৩৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য সশক্তিকরণ কর্মসূচির আওতায় অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এই ৮৩৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ার ৯৮, বীরভূমের ৯১, বর্ধমানের ১৪৯, কোচবিহারের ৬২, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৩৭, হাওড়ার ৮৭, নদিয়ার ৯৬, পূর্ব মেদিনীপুরের ১০৫ ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত। সর্বাধিক পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেই। এই ৮৩৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মোট ৬০ কোটি ৫০ লক্ষ ৮৯ হাজার ২২৪ টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৭ কোটি ৮৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৫৩ টাকা। আর পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থের পরিমান ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৬৬ টাকা। বরাদ্দ অর্থে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি সার্বিক উন্নয়নের কাজ করতে পারবে। তবে আদিবাসী বা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে ‘বিশেষ’ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের লক্ষ্মীপুর-সহ ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত, চন্দ্রকোনা ২-এর বসনছোড়া-সহ ৪টি, দাঁতন ১-এর চকইসমাইলপুর-সহ ৫টি, দাঁতন ২-এর হরিপুর-সহ ৫টি, দাসপুর ১-এর বাসুদেবপুর-সহ ৭টি, দাসপুর ২-এর গৌরা-সহ ১৩টি, ডেবরার ভরতপুর-সহ ১১টি, গড়বেতা ১-এর ধাদিকা-সহ ৬টি, গড়বেতা ২-এর পাথরপাড়া-সহ ৩টি, গড়বেতা ৩-এর নয়াবসত-সহ ৪টি, ঘাটালের ইড়পালা-সহ ৪টি, গোপীবল্লভপুর ১-এর সরিয়া, কেশিয়াড়ির খাজরা-সহ ২টি, কেশপুরের ধলহরা-সহ ৯টি, খড়্গপুর ১-এর ভেটিয়া-সহ ২টি, খড়্গপুর ২-এর লছমাপুর-সহ ৩টি, মেদিনীপুর সদরের বনপুরা-সহ ৪টি, মোহনপুরের নিলদা-সহ ৩টি, নারায়ণগড়ের মকরামপুর-সহ ৪টি, পিংলার ধনেশ্বরপুর-সহ ৪টি, সবংয়ের ভেমুয়া-সহ ৭টি, সাঁকরাইলের পাথরা-সহ ৬টি এবং শালবনির বিষ্ণুপুর-সহ ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ কর্মসূচিতে যোগতামান অর্জন করেছে। জেলা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, “এই প্রকল্পে বাড়তি অর্থ পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কাজে গতি আসবে।”
এ জেলায় জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে অধিকাংশ পঞ্চায়েতই সিপিএম-নিয়ন্ত্রিত। রাজ্যে পালাবদলের পরেও কাজের নিরিখে ১১৪টি পঞ্চায়েতের স্বীকৃতি ও বাড়তি অর্থ-প্রাপ্তিতে ‘খুশি’ বাম-শিবির। |
|
|
|
|
|