জীবনের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স (৭-৫৫) করে ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯২ রানে থামিয়ে দিলেন পাক অফস্পিনার সঈদ আজমল। জবাবে পাকিস্তান ৪২-০ তুলে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই বেশ ভাল জায়গায়।
‘লর্ডস-গেট’-এর ওই কুখ্যাত সিরিজের পর এই প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তান। দুবাই স্টেডিয়ামকে পাকিস্তান তাদের ‘হোম’ না বললেও ইংল্যান্ড টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর দিনের ষষ্ঠ ওভারেই স্পিনার ডেকে অধিনায়ক মিসবা-উল-হক বুঝিয়ে দেন, পিচের চরিত্র পাক শিবিরের যথেষ্টই পরিচিত। বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস যাকে ব্যাটিং পিচ ভেবেছিলেন, সেখানে পাকিস্তানের তৃতীয় স্পিনার হিসেবে আজমল বল করতে এলেও প্রথম ১০ বল পরেই তাঁর বোলিং হিসেব দাঁড়ায় ১ রানে ৩ উইকেট। স্ট্রস-বেল-পিটারসেন। |
লাঞ্চে ইংল্যান্ড ড্রেসিংরুমে ফেরে ৫২-৫ স্কোরে। মধ্যাহ্নভোজ-উত্তর দ্রুত দাঁড়ায় ৯৪-৭। যখন ১০০ রানও ইংল্যান্ড ইনিংসে উঠবে কি না, বা মেয়েদের টেনিসের মতো টেস্ট ক্রিকেটেও এই মুহূর্তে কোনও অবিসংবাদী এক নম্বর টিম আছে কি না নিয়েই প্রশ্ন ওঠার জোগাড়, সেই সময় পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ম্যাট প্রায়র (৭০ নঃআঃ) এবং গ্রেম সোয়ান (৩৪)। শেষ তিন উইকেটে প্রায় একশো রান তুলে দুশোর কাছাকাছি পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
তাতে অবশ্য আজমলের কৃতিত্ব এতটুকু কমছে না। পিচ থেকে বিরাট কোনও টার্ন না পেলেও তিনি অফস্পিন আর দুসরা এমন ভাবে মিশিয়েছেন এ দিন যে, কোন বলটা ভেতরে আসবে আর কোনটা বাইরে যাবে ব্যাটসম্যানরা বুঝতেই পারেননি। লাঞ্চের পর রাউন্ড দ্য উইকেট এসে ব্রডকে আজমল যে বলটায় এলবিডব্লিউ পান, সেটাকে টিভি ভাষ্যকাররা ‘তিসরা’ বলে অভিহিত করেন। দিনের শেষ ১৫ ওভার দুই পাক ওপেনার মহম্মদ হাফিজ ও তৌফিক উমর অবিচ্ছেদ্য থাকেন যথাক্রমে ২২ ও ১৮ রানে। অ্যান্ডারসন-ট্রেমলেটরা বিশেষ দাগ কাটতে পারেননি বল হাতে। |