রাস্তা খুড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জলের পাইপলাইন। কিন্তু বার বার সেই পাইপলাইন ফেটে যাচ্ছে। পাইপলাইনের জল বেরিয়ে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি হাওড়া জেলার বাউড়িয়ায় সিপাইপাড়া রোডের।
উলুবেড়িয়া পুরসভার অধীন এই রাস্তার পঞ্চানন্দতলা থেকে দীপুর মাঠ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার অংশে গর্ত হয়ে গিয়েছে। কয়েক পশলা বৃষ্টি হলে রাস্তা ধরে যাতায়াত মুশকিল হয়ে পড়ে। গাড়ির চাকার জল ছিটকে পথচারীদের জামা-কাপড় নোংরা করে দেয়। রেহাই নেই শুকনোর সময়েও। সেই সময়ে এত ধুলো ওড়ে, যাতায়াত করাই মুশকিল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে পঞ্চানন্দতলা, ভাসাপাড়া, ২ নম্বর ফোর্ট গ্লস্টার প্রাথমিক স্কুলের সামনে, গহলাপাড়া প্রভৃতি এলাকায় রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। |
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
এই রাস্তা দিয়ে বাউড়িয়া থানা, ঝাউতলা, ফেরিঘাট, হাট বাউড়িয়া, কটন মিল প্রভৃতি এলাকায় যাতায়াত সুবিধাজনক। সেই কারণেই রাস্তাটি বহু মানুষ ব্যবহার করেন।
গহলাপাড়ার বাসিন্দা দেবাশিস দাস বলেন, “জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় এই রাস্তার হাল খারাপ হয়ে গিয়েছে। নানা জায়গায় জল বেরিয়ে গিয়ে রাস্তায় কাদা হয়ে যাচ্ছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পাইপ ফেটে যাওয়ায় যেমন রাস্তা খারাপ হচ্ছে। তেমনই ব্যাহত হচ্ছে জল সরবরাহ ব্যবস্থাও। সিপাইপাড়ার বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডল বলেন, “রাস্তার ভিতর দিয়ে যে জলের পাইপ লাইন গিয়েছে সেটি বার বার ফেটে যাচ্ছে। পাইপ ফেটে যাওয়া বন্ধ করতে না-পারলে রাস্তা মেরামত করে কোনও লাভ নেই।”
উল্লেখ্য, উলুবেড়িয়ার জগদীশপুরে কেএমডিএ গঙ্গার জল শোধন করে তা পানীয় জলে পরিণত করার একটি প্রকল্প গড়েছে। সেই প্রকল্পের পাইপ লাইন গিয়েছে সিপাইপাড়া রোডের উপর দিয়ে। কেন পাইপলাইনটি মেরামত করা হচ্ছে না তার জবাবে কেএমডিএ-এর একজন আধিকারিক জানান, জলপ্রকল্পটি গত ২ জানুয়ারি থেকে উলুবেড়িয়া পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যা করার করবে পুরসভাই।” পুরসভার পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে পাইপলাইনের মেরামত তারাই করবে। কিন্তু টাকার অভাবের জন্য কাজটি করা যাচ্ছে না। পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষ বলেন, “টাকা হাতে এলেই জলের পাইপলাইন এবং রাস্তা মেরামতির কাজ করা হবে।” |