মা ও শিশুর রহস্যমৃত্যু, সংজ্ঞাহীন বাবা
ঠিক কী কারণে বিমা-পরামর্শদাতা পুত্রবধূ ও আট মাসের নাতির মৃত্যু হল এবং সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ল কৃতী ছেলে, ভেবেই পাচ্ছেন না অসমের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গীতানাথ অধিকারী। রবিবার সকাল থেকে পুনেয় ছোট ছেলে অনির্বাণ ও পুত্রবধূ কঙ্কণাকে বারবার ফোন করেছেন। ফোন বেজে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে পুনেতেই বড় ছেলে অরিন্দমকে ফোন করেন। অরিন্দম ও কঙ্কণার ভাই কৌশিক ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তিন জনের সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আট মাসের আদিত্য ও ২৫ বছরের কঙ্কণাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শিবাজি নগরের নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন অনির্বাণ (৩৩)।
পুনের সুসগাঁও এলাকার নিয়া আবাসনে অনির্বাণ, কঙ্কণা ও তাঁদের শিশু সন্তানের ছোট্ট সংসার ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকেই অনির্বাণ পুনেবাসী। ফার্গুসন কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। পরে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন অনির্বাণ। স্ত্রী কঙ্কণা কাজ করতেন একটি বিমা কোম্পানিতে। প্রেমের বিয়ে। অনির্বাণবাবুর আদি বাড়ি অসমের তিনসুকিয়া। তাঁর দাদা প্লাস্টিক গবেষক অরিন্দমও কর্মসূত্রে এখন পুনেতেই রয়েছেন।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত অনির্বাণবাবুর বাবা-মা পুনেতেই ছিলেন। শনিবার রাতেও অনির্বাণ ফোনে বাবা-দাদার সঙ্গে কথা বলেন। পেট ব্যথার জন্য বাবার কাছ থেকে কবিরাজি ওষুধের নামও জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই গীতাবাবু ছেলেকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। বিস্তর চেষ্টার পরেও ছেলে-বউমার ফোন না পেয়ে বড় ছেলেকে জানান তিনি। অরিন্দমবাবু গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কঙ্কণার ভাই কৌশিকও দিদির সাড়া না পেয়ে নিয়া আবাসনে হাজির হন। পড়শিদের চেষ্টায় দরজা ভেঙে তিন জনকে অজ্ঞান অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরে বিস্তর ওষুধপত্র ছিল। অধিকাংশই শিশুদের ওষুধ। ঘরে কোনও সুইসাইড নোট না মিললেও প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সন্তানকে হত্যা করে বিষাক্ত কিছু খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। পুলিশ জানায়, মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.