|
|
|
|
জাল শংসাপত্র বিক্রি করে পুলিশের নজরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
কাছাড় জেলার নির্বাচনী অফিসার মিফতাউদ্দিন আহমেদ অনেক দিন থেকে কাটিগড়ার সার্কেল অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। তবে দায়িত্ব পালন ঠিকঠাক করছেন এমন বলা যাবে না। অধিকাংশ সময়েই সার্কেল অফিসে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায় না। এ নিয়ে অবশ্য কোনও সমস্যা নেই এলাকার সাধারণ মানুষের। কারণ সার্কেল অফিসারের সব কাজই করে দেন হরিনগর পঞ্চায়েতের সভাপতি এমাদউদ্দিনের ছেলে কপিলউদ্দিন। তাই তাঁরা এখন আর অযথা সার্কেল অফিসে গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করে সোজা চলে আসেন কপিলের কম্পিউটার-দোকানে। এর দোকানে। বিশেষ করে কাটিগড়ার প্রচুর মানুষ প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয় বা মিজোরামে যান দিনমজুরের কাজ করতে। সেখানে সার্কেল অফিসারের শংসাপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। তাঁদের কাছে কপিলই এখন মূল ভরসা।
কিন্তু ক’দিন থেকে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই শংসাপত্র নিয়ে মেঘালয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না সেখানকার পুলিশ। তাঁদের কথায় এগুলি জাল। নগদ পাঁচশো টাকা দিয়েও জাল! একদল শ্রমিক দেখা করেন আসল সার্কেল অফিসার মিফতাউদ্দিনের সঙ্গে। শংসাপত্র দেখে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। তাঁদের কাছেই জানতে পারেন কপিলের কথা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি। কাটিগড়া থানার ওসি প্রভাত শইকিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী কপিলের কম্পিউটার দোকানে গিয়ে হানা দেয়। তবে আগেভাগেই টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে সে পালায়। তবে প্রভাতবাবু নিশ্চিত, কম্পিউটারেই জাল শংসাপত্র পাওয়া যাবে। মিলবে অন্যান্য প্রমাণও।
মিফতাউদ্দিন জানিয়েছেন, কম্পিউটারে শংসাপত্র মুদ্রিত নমুনা বের করে এতে কপিল নিজেই স্বাক্ষর করে দিত। সঙ্গে সিলমোহর। এ জন্য মানুষের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচশো টাকা করে আদায় করত। তাঁর কথায়, বিষয়টি বিপজ্জনক। বিশেষ করে কাটিগড়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন বলে তাঁদের সর্বদা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই সব শংসাপত্র দিতে হয়। শীঘ্রই কপিলকে গ্রফতার করতে তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে কপিলের পঞ্চায়েত সভাপতি বাবা, এমাদউদ্দিন তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র। |
|
|
|
|
|