|
|
|
|
বয়স-বিতর্কে ‘ক্যাভিয়েট’ পেশ কেন্দ্রীয় সরকারের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সেনাপ্রধানের বয়স-বিতর্ক সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ, কেন্দ্রের বক্তব্য না শুনে এই মামলায় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না শীর্ষ আদালত। গত কালই বয়স সংক্রান্ত বিতর্কে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের
দ্বারস্থ হন সেনাপ্রধান বিজয়কুমার সিংহ। সেনাপ্রধানের এই পদক্ষেপে ইউপিএ সরকার তীব্র অস্বস্তিতে। কারণ, এই প্রথম দেশের কোনও সেনাপ্রধান সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন। আর এ নিয়ে সরকারের সমালোচনায় ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, সেনাপ্রধান ১৯৫০ সালে জন্মেছেন। যদিও সেনাপ্রধানের পাল্টা দাবি, সালটি ১৯৫১। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই দাবি মানেননি। এ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই কাল শীর্ষ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সেনাপ্রধান। প্রত্যাশিত ভাবেই বিষয়টি নিয়ে ঘর গোছাতে শুরু করেছে ইউপিএ সরকার। আজই প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি এবং আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। তবে, তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এরই মধ্যে, মালয়েশিয়ায় সফররত প্রতিরক্ষা সচিব শশিকান্ত শর্মাকেও এ দিন জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
সেনাপ্রধান সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায়, সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি-র বর্ষীয়ান সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী যশোবন্ত সিংহ। তিনি বলেছেন, আরও অনেক ‘সংবেদনশীলতার’ সঙ্গে সরকারের বিষয়টির বিচার করা উচিত ছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টিকে মিটিয়ে নিতে পারতেন বলেই তিনি মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, “প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অযোগ্যতা আমাকে স্তম্ভিত করেছে। এই রকম সংবেদনশীল একটি বিষয় এত অ-সংবেদনশীলতার সঙ্গে কী ভাবে তিনি বিচার করলেন, বুঝতে পারছি না।” তাঁর মতে, বয়স-বিতর্ক আদালত অবধি গড়াতে দেওয়া সরকারের উচিত হয়নি। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনে করছেন, সেনাপ্রধানের আদালতে যাওয়া এটাই ইঙ্গিত করছে, বর্তমানে সেনার সঙ্গে সরকারের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। |
|
|
|
|
|