বিদেশি বিমান পরিবহণ সংস্থার সামনে এ বার ভারতে ৪৯% পর্যন্ত লগ্নির দরজা খোলা নিয়ে আশার আলো। ভারতীয় সংস্থাগুলির তরফে এই দাবি উঠেছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তাতে শিলমোহর দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করার কথা মঙ্গলবার স্পষ্ট করে জানাল কেন্দ্র। এটা আর্থিক অনটন কাটিয়ে ওঠার তাগিদে তাদের ন্যায্য দাবিরই স্বীকৃতি বলে মনে করছে বিমান পরিবহণ শিল্প।
দেশের বিমান সংস্থাগুলিতে নতুন করে প্রাণ ফেরাতেই এই শিল্পের সংস্কারে কেন্দ্র বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে আজ অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহের বৈঠকে ইঙ্গিত মিলেছে। পাশাপাশি, অর্থ সঙ্কটে নাজেহাল এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট-সহ অন্য কর্মীদের বেতন ও ভাতার একাংশ অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে সংস্থাকে ১৫০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বৈঠকে গৃহীত হয়েছে। সিংহ জানান, “এই অর্থ কার্যত সরকারের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাপ্য। প্রথম দফায় ১৫০ কোটি দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে সংস্থার পাওনা ৬০০ কোটি টাকার মতো। কারণ মন্ত্রী-আমলাদের যাতায়াতের দায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকেরই নেওয়া উচিত। সেই বাবদই ওই টাকা পাওনা হয় সংস্থার কিছু মন্ত্রক ইতিমধ্যেই এতে সায় দিয়েছে। বাকিদের সঙ্গে আমি কথা বলব।”
আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় বিমান পরিবহণ শিল্পের হাত ধরার অনুমতি বিদেশি সংস্থাকে দিতে শীঘ্রই মন্ত্রিসভার সায় চাইবে বিমান মন্ত্রক। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় সংস্থায় ওই পরিমাণ মালিকানা নিতে পারবে বিদেশি সংস্থা।
প্রসঙ্গত, বিমান পরিবহণ শিল্পে ৪৯% বিদেশি পুঁজির প্রবেশাধিকার এর আগেই দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু বিদেশি লগ্নিকারীদের সে সুযোগ থাকলেও সরাসরি বিদেশি বিমান সংস্থার জন্য আইনি ছাড়পত্র ছিল না। আর, এ বার ঠিক সেই পথে হেঁটেই বিমান সংস্থাগুলিকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে চায় কেন্দ্র। বিমানমন্ত্রী জানান, “অর্থমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।” বিমান মন্ত্রক এ বার মন্ত্রিসভায় পাঠানোর জন্য বিবৃতি প্রস্তুত করবে। বিদেশি সংস্থার লগ্নির অনুমোদন মিললে এয়ার ইন্ডিয়া সুযোগ পাবে কি না, তার উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাব এলে বিবেচিত হবে।” |