বিদ্যুৎ বিভ্রাট মেডিক্যালে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিষেবা
ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ার জেরে সোমবার সন্ধ্যা থেকে দীর্ঘক্ষণ অন্ধকারে ডুবে রইল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দু’টি ভবনের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। জানা গিয়েছে, এমসিএইচ এবং এজরা ভবনে সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘটনার জেরে রোগী পরিষেবা আংশিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। জেনারেটরের সাহায্যে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জরুরি বিভাগেও বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। তবে তা বেশিক্ষণের জন্য নয়। সিইএসসিই-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) দিলীপ সেন সন্ধ্যায় বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে একটি ট্রান্সফর্মারে ফল্ট হয়েছে। সারানোর কাজ চলছে। বিভ্রাটের কারণ এখনও জানা যায়নি।” রাত ১২টা নাগাদ সিইএসসি কর্তারা দাবি করেন, যে ওয়ার্ডগুলিতে জরুরিভিত্তিক চিকিৎসা হয়, আপাতত সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
লিফট অচল। এ ভাবেই তোলা হচ্ছে রোগীকে। ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ।
এ দিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে অন্ধকারের মধ্যে টর্চ নিয়ে রোগীদের ওষুধ, ইঞ্জেকশন দেওয়া, স্যালাইন চালানো ও অন্য কাজ করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন চিকিৎসক ও নার্সেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, লিফট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসুস্থদের সিঁড়ি দিয়েই স্ট্রেচারে চাপিয়ে চারতলা, পাঁচতলায় তুলতে হয়। পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলের সমস্যাও শুরু হয় কয়েকটি বিভাগে। তবে ইউপিএস থাকায় আইসিসিইউ-এর যন্ত্রপাতি চালু রয়েছে। রাতে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, এমসিএইচ ভবনের নীচে বহু রোগীকে নিয়ে বিভ্রান্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁদের আত্মীয়। স্ট্রেচার না পেয়ে, বিষ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া এক ব্যক্তিকে তাঁর আত্মীয়েরাই ধরাধরি করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে তুলে নিয়ে যান। এমসিএইচ ভবনেই কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিসিইউ। এ ছাড়াও রয়েছে মেডিসিন, হেমাটোলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এজরা ভবনে রয়েছে ইএনটি, সাইকিয়াট্রি বিভাগ। এ দিনের বিভ্রাটে ওই সব বিভাগেই পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে যাতে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত না-হয় তার জন্য রাতে সিইএসসিই থেকে ৫০০ কেবি-র ২টি জেনারেটরও পাঠানো হয়। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আপতকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ইউপিএস থাকার কারণে পরিষেবা কোনও ভাবে চালু রাখা গিয়েছে। কিন্তু এ রকম ক্ষেত্রে হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর দরকার। টাকা অনুমোদন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মেডিক্যাল কলেজে এখনও জেনারেটরের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর। ইউপিএস দিয়ে ঘণ্টাদুয়েক যন্ত্রপাতি চালানো যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.