টুকরো খবর
প্রশ্ন কমছে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রশ্নের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত বছর পর্যন্ত ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে দু’ঘণ্টায় ৯০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হত পরীক্ষার্থীদের। এ বার প্রশ্নের সংখ্যা কমিয়ে ৮০ করা হচ্ছে বলে জানান জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্ত। পরীক্ষার্থীদের সুবিধের কথা মাথায় রেখেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বলে সোমবার জানিয়েছেন ভাস্করবাবু। চেয়ারম্যান আগেই জানিয়েছেন, এ বছর থেকে জয়েন্টের সব প্রশ্ন হবে ‘এমসিকিউ’ অথবা মাল্টিপ্ল চয়েস কোয়েশ্চেন ধাঁচের। অর্থাৎ, একটি প্রশ্নের একাধিক উত্তর দেওয়া থাকবে। তার মধ্যে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করতে হবে ‘অপ্টিক্যাল মার্ক রেকগনিশন’ (ওএমআর) শিটে। কোনও প্রশ্নের উত্তরই হাতে লিখতে হবে না। সোমবার চেয়ারম্যান বলেন, “এ বছর ১০০ নম্বরের জন্য ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ৬০টি ১ নম্বরের প্রশ্ন এবং ২০টি ২ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।” গত বছর পর্যন্ত ৮০টি ১ নম্বরের এমসিকিউ এবং ১০টি ২ নম্বরের সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন থাকত। এই ১০টি প্রশ্নের উত্তর হাতে লিখতে হতো পরীক্ষার্থীদের। সোমবার ভাস্করবাবু বলেন, “আগের নিয়মে দু’ঘণ্টায় ৯০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো। অর্থাৎ একটি প্রশ্নের জন্য দেড় মিনিটেরও কম সময় পেত পরীক্ষার্থীরা। নতুন পদ্ধতিতে অন্তত প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর দিতে দেড় মিনিট সময় পাবে তারা।” পরীক্ষায় টোকাটুকি বন্ধ করতেই মূলত প্রশ্নপত্রে সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন রাখা হতো। তার বদলে সব প্রশ্নই এমসিকিউ ধাঁচে হলে কি টোকাটুকির আশঙ্কা তৈরি হবে না? চেয়ারম্যান বলেন, “ভুয়ো পরীক্ষার্থী ঠেকাতে এ বার অ্যাডমিট কার্ড এবং ওএমআর শিটে বেশ কিছু বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।” ভাস্করবাবু জানান, পরীক্ষার্থীদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি এ বার তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্র দেওয়া হবে। চেয়ারম্যানের কথায়, “পরীক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণিতে যে প্রতিষ্ঠানে পড়ত, সেই প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি কেন্দ্রে তার পরীক্ষার আসন দেওয়া হবে।”

কর্মস্থলের কাছে থাকুন শিক্ষকরা, দাবি ছাত্র ব্লকের
স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের কর্মস্থলের কাছে বসবাস বাধ্যতামূলক করার দাবিতে আন্দোলনে নামছে ফরওয়ার্ড ব্লকের ছাত্র সংগঠন ছাত্র ব্লক। ২৩ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি এস আই এবং ডি আই দফতরে স্মারকলিপি দেবে তারা। মার্চে তারা ওই দাবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে স্মারকলিপি দেবে। ছাত্র ব্লকের যুক্তি, অনেকেই বাড়ি থেকে বহু দূরে গ্রামের স্কুল বা কলেজে শিক্ষকতার চাকরি পান। তাঁদের বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যেতে তিন ঘণ্টা বা তার বেশি লাগে। যানবাহনের অপ্রতুলতার দরুন কখনও আরও বেশি সময় লাগে। শিক্ষকরা স্কুল বা কলেজ শুরু হওয়ার পরে সেখানে পৌঁছন, শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে আসেন। এতা ছাড়া স্কুল বা কলেজে পড়াতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ও তাঁরা পান না।

পরিবহণ শ্রমিকদের সহায়তা
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘সামাজিক সুরক্ষা পক্ষে’ পরিবহণ শ্রমিকদের হাতে নানা ক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হল। গত ১ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘সামাজিক সুরক্ষা পক্ষ’ পালন করেছে শ্রম দফতর। তার শেষ দিনে কলকাতা ই এল অ্যান্ড এম ডব্লিউ শাখার তরফে কাইজার স্ট্রিট এবং বেলেঘাটা অটো স্ট্যান্ডে দু’টি শিবিরে ৭৮ জন পরিবহণ শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। শিবিরগুলি থেকে বেশ কয়েক জন বাস কন্ডাক্টর, বাস চালক ও অটো চালকের হাতে চিকিৎসা বাবদ অনুদান, সন্তানের শিক্ষার জন্য অনুদান তুলে দেওয়া হয়। শিবির পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার বিতান দে জানিয়েছেন, পরে বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের শিবির চালানো হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.