নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আনন্দ ক্রীড়ায় এ বার সেরার সেরা পুরস্কার জিতে নিলেন কৌশিক পাল। পুরুষদের ১০০ এবং ২০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। এ বার নিয়ে চার বার এই সম্মান পেলেন আনন্দলোকের এই সাংবাদিক।
শুধু কৌশিক নন, ৫১ তম আনন্দ ক্রীড়ায় পুরনো তারকাদেরই জয়জয়কার। রবিবার মহমেডান মাঠে প্রতিবারের মতোই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বি পি-র কর্মী এবং তাদের পরিবারের প্রায় এক হাজার প্রতিযোগী ২১ টি ইভেন্টে যোগ দিলেন। কিন্তু প্রতিযোগিতার শেষে দেখা গেল অনেকেই গতবারও ভিকট্রি স্ট্যান্ডের এক নম্বর জায়গাটা দখলে রেখেছিলেন। আশিস সরকার, সুব্রত বসু, নীপা সেনগুপ্ত, পিয়ালি বালা, রমা মজুমদারার এ বারও সেরা হয়েছেন নিজেদের বিভাগে। সকালে অনূর্ধ্ব সাত ছোটদের ইভেন্ট দিয়ে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় তা শেষ হল ছোটদেরই আকর্ষণীয় ফ্যান্সি ড্রেস ইভেন্ট দিয়ে। সেখানে অবশ্য ‘খুদে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিলেন সরস্বতী ঠাকুর সেজে আসা প্রতিযোগিনী। |
কৌশিক পালকে (ডান দিকে) অভিনন্দন জানাচ্ছেন গৌতম গুপ্ত ভায়া। রবিবার আনন্দ ক্রীড়ায়। -নিজস্ব চিত্র |
সরস্বতী হয়েছিল খুদে প্রতিযোগী মোহর হাজরা। মমতা হয়েছিলেন আর এক খুদে তামান্না সাহা। যোদ্ধা সেজে তৃতীয় হয় সৌরভ পাল। এ বার প্রথম হল মেয়েদের টাগ অব ওয়ার। সেখানে জিতলেন সংযুক্ত মেয়েদের দল। যাঁর মধ্যে ছিলেন এইচ আর, সাকুর্লেশন এবং ফিনান্স বিভাগের কর্মীরা। সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগী যোগ দিলেন মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ার, গুলি-চামচ দৌড় এবং ছেলেদের বাস্কেটবল থ্রো ইভেন্টে।
টানা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে কৌশিককে অবশ্য পিছনে ফেলে দিলেন বিজ্ঞাপন বিভাগের আশিস সরকার। কৌশিক নিজের ইভেন্টে ছয় বার জিতেছেন। আর বিভিন্ন বয়সের হাঁটা ইভেন্টে টানা এগারোবার জিতলেন আশিস। আশিস এ বার নেমেছিলেন ৫০ বছর বয়সের বেশি কর্মীদের হাঁটা প্রতিযোগিতায়। তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় হওয়াতেও রেকর্ড গড়লেন বিজ্ঞাপনেরই অমর ঘোষ। কর্মীদের স্ত্রীদের জন্য ৭৫ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হলেন নীপা ঘোষ। |
নির্মলপ্রাণে: যেমন খুশি সেজেছে কচিকাঁচারা। রবিবার, এবিপি-র বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক |
এ বার নিয়ে টানা পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। একই ভাবে আনন্দবাজারের সাংবাদিক সুব্রত বসু ৪০ বছর বয়সের বেশি বয়সিদের প্রতিযোগিতায় টানা তিন বার চ্যাম্পিয়ন হলেন। উনিশ কুড়ির পিয়ালি বালা এ বার নিয়ে টানা চার বার মেয়েদের ৭৫ মিটারে সেরা হলেন। তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় হলেন তাঁরই সতীর্থ সুতপা সিংহ। টেলিফোন বিভাগের রমা মজুমদারও মেয়েদের হাঁটা প্রতিযোগিতায় ফের চ্যাম্পিয়ন হলেন। সকালে ছোটদের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগিতায় নজর কাড়ল কল্লোল কুন্ডু, দেবীপ্রিয়া মহারানা, অঙ্কিত সাঁতরা এবং সাগ্নিক বেরা। মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ারে সেরা হলেন সার্কুলেশনের রূপা চট্টোপাধ্যায়। দ্বিতীয় কল্পনা গুছাইত। পুরুষদের টাগ অব ওয়ারে চ্যাম্পিয়ন হল অ্যাড সেলস। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বারসত ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের দুটো টিম।
চমক ছিল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানেও। আনন্দবাজারের নিজস্ব ব্যান্ডের সুরের মধ্যে দিয়ে পুরস্কার তুলে দেন প্রাক্তন কর্মী গৌতম গুপ্ত ভায়া। |