|
|
|
|
উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণী স্কোয়াড ৩টি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি ও মালবাজার |
নতুন ছয়টি বন্যপ্রাণি স্কোয়াড তৈরি হবে রাজ্যে। তার মধ্যে তিনটি দক্ষিণ বঙ্গের বাঁকুড়া, জঙ্গলমহল ও সুন্দরবনে এবং বাকি তিনটে উত্তরবঙ্গে তৈরি হবে বলে রবিবার বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন জানিয়েছেন। জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসা বন্যপ্রাণিদের নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই স্কোয়াড তৈরি হবে। নতুন স্কোয়াড তৈরি হলে বন্যপ্রাণি-মানুষ সঙ্ঘাত কমানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বনমন্ত্রী। হাতির আক্রমণে জখম মঙ্গরু ওঁরাও নামে গয়েরকাটা এলাকারা এক বাসিন্দাকে দেখতে রবিবার বনমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন। শনিবার রাতে গয়েরকাটার আংরাভাসা এলাকায় হাতির আক্রমণে জখম হয় মঙ্গরু। রাতেই তাঁকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদিন বনমন্ত্রী বলেন, “বন দফতরের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নতুন ৬টি বন্যপ্রাণি স্কোয়াড তৈরি করা হচ্ছে। যার মধ্যে তিনটে হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। রাজ্যে ৮০০ বনকর্মীর শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হবে।” গত শুক্রবার বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের ফুলঝোরা বিটের কাছে উত্তর বারোঘরিয়া এলাকায় চিতাবাঘের হামলায় ৪ জন জখম হন। মারা যায় চিতাবাঘটিও। রবিবার ওই এলাকায় গিয়ে জখমদের সঙ্গে কথা বলেন বনমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজকুমার মাহাতোলিয়া এবং বন বিভাগের উত্তর মন্ডলের বনপাল মনীন্দ্র বিশ্বাস। হিতেনবাবু উত্তর বারোঘরিয়ায় পৌঁছে প্রথমেই যান চিতাবাঘের হানায় জখম যুবক নীলু মহম্মদের বাড়িতে। সেখান থেকে তিনি যান বিষ্ণু ওরাওঁ ও আব্দুল মালিকের বাড়িতে। বন আধিকারিকদের থেকে জেনে নেন চিকিৎসার সমস্ত খরচ দেওয়া হচ্ছে কি না। যেহেতু জখম প্রত্যেকেই রোজগার করতেন তাই তাঁরা যতদিন না সুস্থ হয়ে না উঠছে ততদিন পরিবার চালানোর জন্যেও বাড়তি আর্থিক সাহায্য দেবার কথা এদিন বনমন্ত্রী ঘোষণা করেন। হিতেনবাবু জানান, অনেক ক্ষেত্রেই হাতি বা অন্য বন্যপ্রাণি মানুষের ওপর বারংবার হামলা তালালে বন্দি করা আবশ্যক হয়ে ওঠে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বন্যপ্রাণি আইন অনুযায়ী এভাবে বন্যপ্রাণি আটক করা যায় না। সে জন্য বন দফতরের কাজে অসুবিধেও হয়। এই আইন যাতে কিছুটা সংশোধন করা যায় সেজন্য রাজ্য বনদফতর কেন্দ্রের কাছে আর্জিও জানাবে বলে তিনি জানান। এদিকে গত শনিবার রাতেও উত্তর বারোঘরিয়া এলাকায় চিতাবাঘের হামলায় মকলেশ্বর রহমান নামে এক ব্যক্তির গরু মামা যায়। ওই ঘটনায় এলাকাতে এখনও চিতাবাঘের আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে। বনমন্ত্রী জানান, ২-৩ দিনের মধ্যেই ওই এলাকায় বনকর্মীদের নিয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হবে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদেরও তিনি সজাগ সতর্ক থাকতে এবং বন্যপ্রাণি দেখলেই বনদফতরে খবর দিতে পরামর্শ দেন। হিতেনবাবুর অভিযোগ, বিগত বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজ্যে বিপুল পরিমাণে অরণ্য ধ্বংস হয়েছে। সে কারণে বন্যপ্রাণের সংখ্যা বাড়লেও চলাফেরার এলাকা কমে গিয়েছে। |
|
|
|
|
|