|
|
|
|
ফের জারোয়ার ভিডিও তুলে বিতর্কে পর্যটক |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
কড়াকড়িই সার। বিতর্কিত জারোয়া-ভিডিও নিয়ে দেশ যখন তোলপাড়, ফের এক পর্যটককে আটক করা হল আন্দামানের প্রাচীন বাসিন্দাদের ভিডিও সমেত। জিরকাটাং চেকপোস্টে ধরা হয় পশ্চিমবঙ্গের ওই পর্যটককে। তাঁর কাছে পাওয়া ভিডিওতে দুই জারোয়া পুরুষের ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে আন্দামান ট্রাঙ্ক রোডে ওই ভিডিওটি করে ছিলেন তিনি। তবে আটক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি আন্দামান পুলিশ। ভিডিও ফুটেজটি মুছে দিয়ে স্রেফ সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে, গত কয়েক দিনে জারোয়াদের ডেরায় ‘সভ্য’ মানুষের আনাগোনা নিয়ে সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল এই ঘটনা।
ইতিমধ্যে, জারোয়া মহিলাদের বিতর্কিত ভিডিও-র তদন্তে আন্দামান-নিকোবর পুলিশ এ বার দ্বারস্থ হল জাতীয় প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্রের (এনটিআরও)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার পরই পুলিশ যোগাযোগ করে এনটিআরও-র সঙ্গে। সংস্থাটি প্রধানত সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে। এনটিআরও-র গোয়েন্দারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন প্রথম কোন কম্পিউটার থেকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছিল। টেলিফোনে এক ব্রিটিশ সাংবাদিকের সঙ্গে অভিযুক্ত পর্যটন সংস্থার এক কর্মীর ফোনে কথা হয়েছিল। ওই কর্মীকেও চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ওই ব্রিটিশ সংবাদপত্রের কাছে তাদের যে সাংবাদিক ভিডিওটি করেছিলেন, তাঁর পরিচয়ও জানতে চাওয়া হয়েছে। পর্যটন সংস্থা ও পর্যটকদের প্ররোচিত করার অপরাধে দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধেও বিচার শুরু করা হবে।
জঙ্গলের মধ্যে রাস্তা তৈরিতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে, দ্বীপের প্রশাসনিক আধিকারিকরা সে বিষয়ে গররাজি। আন্দামানের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তকে জুড়েছে আন্দামান ট্রাঙ্ক রোড। এই সড়কের অনেকটাই জঙ্গলের মধ্যে, যেখানে শ’চারেক জারোয়ার বাস। আন্দামানের প্রশাসনের দাবি, জঙ্গল, আদিবাসী গোষ্ঠী সংরক্ষণে সরকার যতই তৎপর হোক, এই সড়কেরও যথেষ্ট প্রয়োজন আছে। কারণ, সমুদ্র উত্তাল হলে ওই সড়কই যাতায়াতের ভরসা। |
|
|
|
|
|