|
|
|
|
নাগা নেতাদের সফরে কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আপত্তিতে দুই এনএসসিএন (আইএম) নেতা, আইজ্যাক ও মুইভার জুনেবটো সফর স্থগিত হয়ে গেল। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা এতটাই বেড়েছে যে ১৫ বছর ধরে চলা শান্তি প্রক্রিয়াতেও কেন্দ্রীয় সরকারের এই ‘আপত্তি’ প্রভাব ফেলেছে।
ঘটনার শুরু শুক্রবার। আইজ্যাকের জন্মস্থান নাগাল্যান্ডেরই জুনেবটো। তিনি ও মুইভা জুনেবটো সফরে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। সেখানকার নাগা গোষ্ঠী সুমি হো হো দুই নেতাকে সম্বর্ধনা জানাতে প্রস্তুত হয়েছিল। জুনেবটোয় ভূমিপুত্র আইজ্যাকের জনসভা করার কথা। কিন্তু, সম্প্রতি এনএসসিএন খাপলাং ও খুলে-কিতোভি গোষ্ঠীর লড়াইয়ে জুনেবটো উত্তপ্ত হয়ে থাকায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শুক্রবার জানিয়ে দেয়, দুই নাগা নেতার জুনেবটো সফর সম্ভব নয়। জুনেবটোর প্রবেশ পথে সেনা জওয়ানরা কার্যত দেওয়াল তৈরি করে দাঁড়িয়ে যায়। শনিবার তাঁদের জুনেবটো যাওয়ার কথা ছিল। বিস্তর আলোচনার পরেও সফরের অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত কাল বিকেলে প্রায় ৫০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে আইজ্যাক ও মুইভাকে হেব্রনে, তাদের সদর দফতরে ফিরে আসতে হয়।
আই-এম সূত্রে খবর, কেন্দ্র আইএম নেতাদের কাছে শেষ পর্যন্ত চারটি শর্ত পাঠিয়েছিল। শর্তগুলি হল: তাঁরা কোনও অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। তাঁদের দেহরক্ষীরাও অস্ত্র নিতে পারবে না। কনভয়ে গাড়ির সংখ্যা ২০টির বেশি হবে না এবং জুনেবটোতে কোনও জনসভা করা চলবে না। সরকারের তরফে বলা হয়, এই শর্তগুলি মানলে তবেই তাঁদের জুনেবটো যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু ‘অবমাননাকর’ শর্ত মানতে রাজি হয়নি জঙ্গি সংগঠনটি। উল্লেখ্য, গত বছর একইভাবে মণিপুরের উখরুলে, নিজের জন্মস্থানে যেতে পারেননি মুইভাও। নেতাদের অপমানে ক্ষিপ্ত আইএম বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, “ভারত সরকারের অপরিণত সিদ্ধান্তে আমরা অবাক। ছয় দশক ধরে চলতে থাকা নাগা সংগ্রামের সন্তোষজনক সমাধানের চেষ্টা করছেন আমাদের নেতারা। তাঁদের সঙ্গে এমন ব্যবহার! নাগা সমস্যা সমাধান ও শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ভারত সরকারের সদিচ্ছার প্রতিই আমরা সন্দিহান। এভাবে নাগা নেতাদের অপমান করলে শান্তি প্রক্রিয়া ও সমাধান সম্ভব নয়।” সুমি হো হোর তরফেও সরকারি সিদ্ধান্তের নিন্দা করা হয়েছে। আইজ্যাক ও মুইভা বলেন, “আমরা জুনেবটো গিয়ে মানুষকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উস্কানি দিতাম না, বরং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানে আস্থা রাখার কথাই বলতাম। কিন্তু ভারত সরকার ইতিবাচক সাড়া না দিয়ে পরিস্থিতি তিক্ত করে তুলল।” |
|
|
|
|
|