|
|
|
|
নির্বাচনের মুখে মণিপুর কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে কংগ্রেসের গৃহবিবাদ ততই বাড়ছে। পছন্দের প্রার্থীরা টিকিট না পাওয়ায় সদর হিলের ১৪ জন পুরপিতা একসঙ্গে দল থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
পাঁচ বছর আগের ভোটে কংগ্রেস এই এলাকায় একটিও আসন পায়নি। এ বার অন্তত দুটি আসন পাবে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের আশা ছিল। কুকি অধ্যূষিত সইকুল, সাইতু ও কাংপোকপি থেকে ওই ১৪ জন পুরপিতা যে প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করেছিলেন, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তার একটিও স্থান পায়নি। অন্যতম পদত্যাগী সদস্য, লুংথাং হাওকিপ বলেন, “প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, আমাদের প্রস্তাবিত প্রার্থীদেরই গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।”
এরই পাশাপাশি, কংগ্রেসের উপরে, জঙ্গি-আক্রমনও অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে গ্রেনেড হানা হলেও কেউ জখম হননি। জঙ্গিরা নতুন করে হুমকি দিয়েছে, গ্রেনেড হুমকির পরেও যারা কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে কাজ করবে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। যে সব মেইরা পইবি বা মহিলা সংগঠনগুলি কংগ্রেস নেতাদের রক্ষা করছে তাদেরও সামনে থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। কেবল তাই নয় জঙ্গিদের দাবি, অন্য কোনও রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনের আগে-পরে জোট গড়লে, তাদেরও শাস্তি পেতে হবে।
পুলিশ ও আধাসেনার কড়া প্রহরার পরেও জঙ্গি হানায় কোনও নিয়ন্ত্রণ না আসায় চিন্তিত প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের দাবিমতো অতিরিক্ত ৩৫০ কোম্পানি আধাসেনা মণিপুরে নিয়ে আসছে করছে। এর মধ্যেই, গত কাল ৪র্থ রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের এক জওয়ানের গুলিতে মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। পুলিশের দাবি, পশ্চিম ইম্ফলের হেইবংপোকপি এলাকায় জওয়ানরা তিন-চারজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে ধাওয়া করায় তারা গুলি চালায়। তখনই গুলি বুং বুং নামে এক সন্দেহভাজনের মৃত্যু হয়। নিহতের কাছে একটি গুলিভরা পিস্তল ও গ্রেনেড মেলে। পরে জানা যায় সে আসলে রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের এক জওয়ান। কিন্তু বুং বুং-এর দেহ নিতে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁর পরিবার। তাদের দাবি, বুং বুং ৪র্থ রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের রাইফেলম্যান। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি রাতে বুং বুংকে তুলে নিয়ে যায়। একপর পুলিশই জঙ্গি সাজিয়ে তাঁকে হত্যা করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ একটি বিক্ষোভ মঞ্চ গড়েছে। |
|
|
|
|
|