কলেজের অধ্যক্ষদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।
রবিবার বর্ধমানের কৃষ্ণসায়র উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত ‘শিক্ষার এ কাল ও সে কাল’ নামে এক আলোচনা সভায় রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিৎ এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এত দিন সিনিয়র কলেজ শিক্ষকদের সমান বেতন পেতেন অধ্যক্ষেরা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার ওই শিক্ষকেরা অধ্যক্ষের তুলনায় বেশি বেতন পেতেন। আমরা এই ব্যবস্থা পাল্টাচ্ছি।”
তিনি জানিয়েছেন, এ বার থেকে অধ্যক্ষদের আলাদা গাড়ি, টেলিফোন খরচ-সহ বিশেষ একটি আর্থিক ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। ফলে যাঁরা এত দিন যোগ্যতা নিয়েও অধ্যক্ষ হতে চাইতেন না, এ বার তাঁরা কলেজের প্রশাসন সামলাতে এগিয়ে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তাঁর দাবি, একটা সময় কলেজের অধ্যক্ষদের উপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। রাজনৈতিক নেতারা যা বলতেন সেটাই তাঁরা করতে বাধ্য থাকতেন। এখন কিন্তু তাঁদের একটা বড় অংশ সরকারি অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। এখন তাঁরা প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন, সেটাই তো পরিবর্তনের পরে আমাদের মস্ত পাওনা।
তিনি আরও বলেন, “কলেজ নির্বাচনের আগে-পরে রাজনৈতিক সন্ত্রাস সামলাতে একটি অভিন্ন বিধি তৈরি করা হবে। কলেজগুলিতে সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনও সংবিধান নেই। অভিন্ন একটি বিধি তৈরি করা হবে।”
কলেজের অধ্যক্ষদের নিগ্রহ নিয়ে তাঁর মত, “এই ধরনের ঘটনা একেবারেই অভিপ্রেত নয়। অধ্যক্ষ বা স্কুলের শিক্ষক নিগৃহীত হলে তা তো আমাদেরই অপমান। এই সব রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। ঘটনার তদন্তে কলেজগুলিতে আমরা বিশেষ দল পাঠাব।”
রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য অরুণ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “আমরা শিক্ষাক্ষেত্রকে এখনও দলদাসতন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত করতে পারিনি।”
কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদ ভোটের আগে বা পরে সন্ত্রাস-সমস্যা সমাধানে তাঁর পরামর্শ, “ছাত্র সংসদের বদলে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে সেরা ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র কল্যাণ সমিতি গঠন করা হোক। বিভাগগুলি কী ভাবে চলবে তা ঠিক করুন এই মেধাবী ছাত্রেরাই।” |