আট ‘নদী’র মধ্যে প্রতিযোগিতার শেষে বাজিমাত করল দামোদর। বর্ধমানের কৃষ্ণসায়রে। রবিবার বিকেলে, মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের ব্যবধানে জয় পেল এই নদ। তিনশো মিটার দূরত্ব তরতরিয়ে পেরিয়ে গেল দামোদর। সময় নিল ২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রূপনারায়ণের ওই ৩০০ মিটার দূরত্ব পার হতে সময় লাগল পাক্কা তিন মিনিট।
কৃষ্ণসায়র অছি পরিষদের পরিচালনায় এই নৌবাইচ প্রতিযোগিতায় আটটি নৌকার নাম দেওয়া হয়েছিল আটটি নদ বা নদীর নামে। যেমন, দামোদর ছিল বর্ধমানের মৎসজীবীদের নৌকা। রূপনারায়ণ গুসকরার, জামালপুরের ছিল পদ্মা, কেতুগ্রামের মৎসজীবীদের নৌকার নাম যুমনা। অন্যান্য বছরের মতোই প্রতিযোগিতা দেখতে কৃষ্ণসায়রের তীরে এ দিন ভিড় জমান কয়েক হাজার মানুষ। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে দামোদর পেয়েছে ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় রূপনারায়ণ পেয়েছে পাঁচ হাজার এবং তৃতীয় পদ্মা পেয়েছে তিন হাজার। |
দামোদর নৌবাইচ দলের অধিনায়ক মাধব হালদার বলেন, “সারা বছর মাছ ধরে বেড়াই। তারই মাঝে এই প্রতিযোগিতা আমাদের কাছে একটা বিনোদনের খোরাক। জেতা বা হারা সবই সমান।” আর দামোদরের কাছে হেরে বেশ বিমর্ষ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়া রূপনারায়ণের অধিনায়ক পতিতপাবন হালদার। বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু চোখের সামনে দিয়ে ওরা বেরিয়ে গেল তিরের মতোই।” গত বারের প্রতিযোগিতার বিজয়ী গলসির গোহগ্রামের অজয় কিন্তু এ বার প্রথম রাউন্ডে হেরেই বিদায় নিয়েছে। দলের অধিনায়ক দিলীপ বর্মন বলেন, “এ বার আমরা তো চূড়ান্ত পর্বে উঠতেই পারলাম না। মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে অনুশীলন করতে হবে।”
তবে এ দিন প্রতিযোগিতার সময় নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল চরমে। প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল, সকাল ১১টা নাগাদ হবে এই নৌবাইচ। কিন্তু ১১টায় সায়রের পাশে হাজির হওয়া প্রতিযোগীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরে বলা হয়, দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হবে প্রতিযোগিতা। শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা এ দিন শুরু হয়েছে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ। |