কলেজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্র পরিষদের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার আলিপুরদুয়ার কলেজের ওই ঘটনায় সংগঠনের জেলা সভাপতি সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মারধরের অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মল্লিকের বিরুদ্ধে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।
৪ ফেব্রুয়ারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ছাত্র পরিষদের দুটি গোষ্ঠী নিজেদের মত প্রার্থী বাছাই করা বা ভোটে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। এ নিয়ে সংগঠনের অন্দরের গোলমাল এ দিন প্রকাশ্যে এসেছে। কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত পঞ্চানন বলেন, “শনিবার কলেজের নির্বাচনের জন্য পরিচয়পত্র তৈরির শেষ দিন ছিল। কয়েক জন ছাত্রছাত্রী পরিচয়পত্রের কাগজ সময়ে জমা দিতে পারেনি বলে আমাকে ঘিরে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু কলেজ চত্বরে কোনও মারপিটের কথা জানা নেই।” ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সৌমিত্রবাবু বলেন, “দুপুর ২টা নাগাদ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজ করতে কলেজে যাই। আমাদেরই সংসদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মল্লিক ও তাঁর অনুগামীরা আচমকা আমার উপর চড়াও হন। মারধরের পর ব্যাগ থেকে কয়েকটি র্মাকশিট ও সাত আটটি পরিচয়পত্র নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশে অভিযোগ জানাব।” কলেজের সংসদের সম্পাদক শ্যামল মল্লিক বলেন, “এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা সভাপতি হিসেবে মানি না। তাই আমাদের বিরুদ্ধে মিধ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে।” |