ব্যবসায়ী পরিতোষ দে খুনের ঘটনায় ধৃত খোকন কর্মকারের কঠোর শাস্তির দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ মিছিল করলেন বালুরঘাটের ব্যবসায়ীরা। শহরের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহার বক্তব্য, “খোকন-সহ বাকি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে আতঙ্ক কমবে।”
তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় গত ৮ মে সকালে শহরের সাধনা মোড় এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী পরিতোষ দে-কে কুপিয়ে, গুলি করে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত খোকন গত ৯ মাস ধরে পলাতক ছিল। তাকে ‘ফেরার’ দেখিয়েই বালুরঘাট থানার পুলিশ খুনের ঘটনার প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। ধৃতেরা জেল হেফাজতেই ছিল। খোকনও ইতিমধ্যে হাইকোর্টে আবেদন করে শর্তসাপেক্ষে আগাম জামিন পায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজার থানার নিয়ামতপুর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিয়ে ব্যবসায়ী খুনে মূল অভিযুক্ত খোকন কর্মকারকে ধরা হয়। ফলে এই খুনের মামলায় অভিযুক্ত ৮ জনকেই গ্রেফতার করা হল।” এ দিকে, তার বিরুদ্ধে আরও একটি তোলাবাজির মামলা ছিল। এই অভিযোগে তাকে বালুরঘাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলে পুলিশ। এ দিন ধৃতের পক্ষে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি। বিচারক সুজয় বল অভিযুক্তের কাছে জানতে চাইলে খোকন দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। পুলিশ তাকে ৭ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে। সরকারি উকিল দেবাশিস মজুমদার বিচারককে জানান, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে ধৃত ব্যক্তি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। বিচারক জামিনের আর্জি নাকচ করে খোকনকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, বালুরঘাট শহরের নিউমার্কেট এলাকায় জুতোর শো-রুমের মালিকের কাছে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত খোকন দলবল নিয়ে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। দোকানের মালিক পরে টাকা দেবেন বলে সময় চেয়েছিলেন। এরপর মাছের বাজারে তোলা আদায়ের প্রতিবাদ করায় খুন হন পরিতোষবাবু। ফেরার থাকার সময় অভিযুক্ত খোকন গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ফের অজিত সাহা নামে এক শাগরেদকে ওই দোকানে পাঠিয়ে টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। জুতোর দোকানের মালিক থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ অজিতকে গ্রেফতার করে। ধৃত অজিতও গোটা ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করে। |