সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য হলেন হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সওয়াল। মেয়র হলেও তিনি জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন না। শনিবার সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্মেলন শেষ হয়। ৫৪ জনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এক জনকে পরে নেওয়া হবে বলে পুর্ননির্বাচিত জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার জানিয়েছেন। প্রাক্তন বিধায়ক লগনদেও সিংহ আর জেলা কমিটিতে ফিরে আসতে পারেননি। কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন আরও দুই প্রাক্তন বিধায়ক কে কে রায় ও পদ্মনিধি ধর। এই দু’জনকে অবশ্য সম্মানীত সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। যদিও সিপিএমের গঠনতন্ত্রে সম্মানিত সদস্যের
কোনও কার্যকরী ভূমিকা নেই। আলিমুদ্দিনের নির্দেশেই কমিটি ছোট করা হয়। পুরনো কমিটি থেকে ২৭ জন বাদ পড়েছেন। নতুন এসেছেন সাত জন। তার মধ্যে মমতা জয়সওয়ালও আছেন।
গত সম্মেলনে লগনদেও জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেও পরবর্তী কালে নানা অভিযোগ ওঠায় তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে তিনি আর ফিরে আসতে পারেননি। সম্মেলনের সূচনায় দু’দিন আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দলকে শুদ্ধ করতে ‘অবাঞ্ছিতদের’ বাদ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এ দিন সম্মেলনের শেষ দিনে দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু ও পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ আমিন দু’জনেই বলেন, দুর্নীতি-প্রোমোটিং ও অসাধু কারবারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দল থেকে বাদ দিতেই হবে।
সম্মেলনে দলের প্রতিনিধিরা নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন, পার্টির কর্মীদের শিক্ষিত করার কাজে যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। নিয়মিত পার্টি ক্লাস হয়নি। দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্যক্তিদের ব্যাপারে নেতৃত্বকে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক সময় তাঁরা
কার্যকর ব্যবস্থা নেননি। বিধানসভার ভোটে ভরাডুবির পিছনে এটাও ছিল বড় কারণ। সেই সঙ্গে নন্দীগ্রামের ঘটনা এবং সরকার পরিচালনায় ব্যর্থতার কথাও উঠে আসে প্রতিনিধিদের বক্তব্যে। |