নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে থাকা স্থানীয় ক্রিকেট চালু হল শনিবার। আর শুরুর দিনেই ফের বিতর্ক বেঁধে গেল আম্পায়ারিং নিয়ে।
এক দিকে, সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে কালীঘাট বনাম শ্যামবাজার লিগ ম্যাচ। যেখানে কালীঘাট ৪৯৪-৭ তুলল, মনোজ তিওয়ারি ১৭৯ করলেন. কিন্তু পিছু পিছু ধাওয়া করল আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক। সিএবি-র অন্য ম্যাচগুলো যখন এ দিন পিচ ভিজে থাকার জন্য বাতিল কিংবা দেরিতে শুরু হল, তখন সল্টলেকের মাঠে ম্যাচ শুরু হল নির্ধারিত সময়ে! খেলা হল পুরো ৮৫ ওভার। এবং আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, পিচ কভার ব্যবহার হওয়া সত্ত্বেও ম্যাচ খেলানোর, যা কি না সিএবি-র নিয়মবিরুদ্ধ। ম্যাচের দুই আম্পায়ার ছিলেন অদীপ্ত মুখোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী। যদিও ইন্দ্রনীল বলে রাখলেন, “পিচ কভারের কথা আমরা কিছু জানি না। পিচ ঠিক ছিল, তাই শুরু থেকে ম্যাচ হয়েছে।”
আম্পায়ারিং নিয়ে দ্বিতীয় অভিযোগ টাউন মাঠের স্পোর্টিং ইউনিয়ন বনাম বিএনআর ম্যাচকে ঘিরে। যেখানে অভিযোগ, পিচ ভেজা থাকা সত্ত্বেও আম্পায়াররা জোর করে ম্যাচ শুরু করতে চেয়েছিলেন। যা নিয়ে ঝামেলাও লাগে বিএনআর শিবিরের সঙ্গে। বিএনআর কোচ স্বপন ঘোষ বলছিলেন, “আম্পায়ার ভেজা মাঠে খেলাতে চাইছিলেন। পরে নিজেরাই ম্যাচকে বাতিল করলেন।”
এবং এই দু’টো ঘটনা মোটেই বিছিন্ন নয়। বেশ কিছু দিন ধরেই আম্পায়ারিং নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ ময়দানের কিছু ক্লাব। ‘মদতপুষ্ট’ আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগও উঠছে। বলা হচ্ছে, আম্পায়ার্স কমিটি নামেই আছে। কিন্তু আম্পায়ারদের ম্যাচ পোস্টিং হচ্ছে সিএবি-র এক বড় কর্তার মাধ্যমে। দশ-বারো জন আম্পায়ারকে দিয়ে লিগের প্রথম ডিভিশনের কিছু ‘নির্দিষ্ট’ ম্যাচ করানো হচ্ছে। যাঁদের অধিকাংশ ‘গ্রেড-টু’ বা ‘গ্রেড-থ্রি’ আম্পায়ার। বেশির ভাগ ‘গ্রেড ওয়ান’ আম্পায়ারদের দেওয়া হচ্ছে জুনিয়র ক্রিকেটের কিছু গুরুত্বহীন ম্যাচ। অবস্থা এতই চরমে যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ‘গ্রেড ওয়ান’ আম্পায়ার যেমন বলেই ফেললেন, “জানি না দোষটা কোথায়। হয়তো কর্তা ধরতে পারিনি বলেই ফার্স্ট ডিভিশন ম্যাচ পাচ্ছি না।” |