নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রয়াগ ইউনাইটেড-০
হ্যাল-০ |
আই লিগের ‘লাস্ট বয়’-কেও হারাতে পারল না প্রয়াগ ইউনাইটেড। উদ্দেশ্যহীন দৌড়াদৌড়ির ‘নেট রেজাল্ট’ সেই ড্র।
স্কোরলাইন নিরামিষ থাকলেও নব্বই মিনিটের চিত্রনাট্যে মশলার কোনও অভাব ছিল না। অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় শনিবার যুবভারতীতে দশ মিনিট দেরিতে ম্যাচ শুরু হয়। প্রয়াগের অপরিহার্য মিডফিল্ডার লালকমল ভৌমিকের কলার বোন ভেঙে দু’সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়া। কিংবা রেফারিং নিয়ে দু’দলের চিরপরিচিত ক্ষোভ। তবে এত সব নাটকের মধ্যেও একটা প্রশ্ন ম্যাচ শেষে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ঘরের মাঠে হ্যালের মতো একটা সাদামাঠা দলের বিরুদ্ধে জিততে পারল না কেন ইউনাইটেড? সহজ উত্তর স্ট্রাইকারদের চরম ব্যর্থতা।
ফুটবলে জিততে গেলে গোল করতে হয়। আর সঞ্জয় সেনের দলে গোল করার লোক নেই। জোসিমার-ইয়াকুবুর মতো স্ট্রাইকাররাও যেন গোলের বুটজোড়া ড্রেসিংরুমে রেখে নেমেছিলেন। বেশ কয়েক বার হ্যালের পেনাল্টি বক্সে বিপজ্জনক হানা দিলেও, গোলের ঠিকানা খুঁজে পাননি দুই বিদেশি। ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন জোসিমার। দুর্ভাগ্য, তাঁর চিপ ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যায়। এর পর থেকেই শুরু প্রয়াগের গোল নষ্টের প্রদর্শনী। নেই-নেই করে অন্তত পাঁচটা সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন প্রয়াগের ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। |
আর বর্ষীয়ান ঘানাইয়ান? গোটা ম্যাচে এক বারই দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন, সেটাও গোল নষ্টের জন্য। ম্যাচের সতেরো মিনিটে যখন শঙ্কর ওঁরাও ডান দিক থেকে ক্রস তুলছেন, তখন ফাঁকা গোলের সামনে দাঁড়িয়ে ইয়াকুবু। কিন্তু অদ্ভুত দক্ষতায় সেই বলটাও গোলের বাইরে হেড করলেন তিনি। তার পরে গোটা ম্যাচে যেন নিরুদ্দেশ হয়ে পড়লেন! এই ম্যাচ জিতলেই মোহনবাগানকে টপকে চারে উঠে আসত প্রয়াগ। সেটা তো হলই না, বরং গোল নষ্টের বদভ্যাস থেকে তাড়াতাড়ি বেরোতে না পারলে আরও দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে জোসিমারদের জন্য।
এ দিকে, আই লিগের অন্য ম্যাচে চিরাগ কেরলকে ২-১ হারাল ডেম্পো। আর্মান্দো কোলাসোর দলের দুই গোলদাতা ক্লিফোর্ড মিরান্ডা ও র্যান্টি মার্টিন্স। চিরাগের হয়ে গোল ভিনিথের। অন্য দিকে, এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ০-০ ড্র লাজংয়ের। |