সুব্রত ভট্টাচার্য সতর্ক গলায় বললেন, “প্রথম লক্ষ তিন, পরের লক্ষ এক পয়েন্ট। কিছুতেই হেরে ফিরতে চাই না।”
গোয়া থেকে মিনিট পনেরো পর ফোনে প্রায় একই রকম মন্তব্য করলেন চার্চিল ব্রাদার্স কোচ ম্যানুয়েল গোমস। লুই ফিগোর এক সময়ের কোচ বলে দিলেন “মোহনবাগান খুব শক্তিশালী। ওদের বিরুদ্ধে সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। হারতে চাই না।”
ডার্বি ম্যাচ জেতার নায়ক এবং দেশের সবথেকে হাই প্রোফাইল কোচের সতর্ক মন্তব্য থেকে স্পষ্ট আজ রবিবার মারগাওয়ের ম্যাচ কতটা হাই ভোল্টেজের।
মারগাওয়ে খেলতে হবে পরপর দুটো ম্যাচ। সে জন্য হোসে ব্যারেটোকে আজ শুরু থেকেই নামানো নিয়ে দ্বিধায় সুব্রত। সকালে সবুজ তোতা পুরো অনুশীলন করলেও দু’রকম টিম ভেবে রেখেছেন মোহন টিডি। একটা ব্যারেটোকে ধরে, অন্যটা তাঁকে বাদ দিয়ে। সুব্রত এ দিন ফোনে বললেন, “আমি কোনও ঝুঁকি নেব না। ব্যারেটোকে নামাব কি না সেটা ঠিক করব কাল সকালে। ওর সঙ্গে কথা বলে।” সুব্রতর সঙ্গে কথা বলে মনে হল, ব্যারেটো শুরুতে না নামালেও ওডাফা এবং জেলেনি, থাকছেনই প্রথম দলে। ব্যারেটো না নামলে সতীর্থ ব্রাজিলীয় হাদসন লিমা শুরু করতে পারেন।
শনিবার হোটেল থেকে প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে একটি মাঠে অনুশীলন করল মোহনবাগান। সেখানে সুব্রত যা টিম সাজিয়েছিলেন তা থেকে স্পষ্ট ৪-৫-১ স্ট্র্যাটেজিতে নামবে সবুজ-মেরুন। সামনে শুধু ওডাফাকে রেখে। যিনি ক্রমশ নিজের চেনা ছন্দে ফিরছেন। যাঁকে চার্চিল কোচ ‘মোহনবাগানের সবথেকে ভয়ঙ্কর’ বলছেন। আসলে ডার্বি ম্যাচের ফটোকপি মারগাওয়েও চাইছেন সুব্রত। রক্ষণ জমাট করতে করতে পাল্টা আক্রমণে বা সেট পিস থেকে গোল তুলে নেওয়ার চিন্তা ঘুরছে সুব্রতর মাথায়। বলেও ফেললেন, “ইস্টবেঙ্গল প্রচণ্ড শক্তিশালী ছিল। চার্চিলও তেমনই। বেটো, ওপারা রয়েছে, তাই স্ট্র্যাটেজি বদলাতে চাইছি না।”
রবিবার জিতলে চার্চিল ব্রাদার্সকে টপকে যাবে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলকেও। লিগ টেবলেও সেক্ষেত্রে দু’নম্বরে চলে যাবেন ব্যারেটোরা। কিন্তু জেতার পথে সবথেকে বড় বাধা সম্ভবত ব্যারেটোরই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু বেটো। চার্চিলের পুরো দলই আবর্তিত হয় তাঁকে ঘিরেই। সঙ্গে গৌরমাঙ্গি, স্টিভন ডায়াসরা তো আছেনই। কোচের সবথেকে বড় সুবিধা রাভানন ছাড়া পুরো টিমই পাচ্ছেন। বললেন, “লিগ টেবলে দু’নম্বরে আছি। সেই জায়গাটাই ধরে রাখতে চাই।” ডেম্পো এ দিন চিরাগ কেরলকে হারিয়ে দেওয়ায় চার পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করে ফেলেছে চার্চিলের সঙ্গে।
চোট নিয়ে সুব্রত-প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়দের সমস্যাও অনেকখানি কমেছে। মোহনরাজ ছাড়া সব ফুটবলারই সুস্থ। সে জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি বাগানে। সুব্রত বললেন, “হাতে কিছু ফুটবলার পাওয়া গেছে। কিন্তু আমার তো নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। তাই বুঝে শুনে সবাইকে ব্যবহার করতে চাই। লিগ তো কালই শেষ হয়ে যাচ্ছে না।” |
রবিবারে আই লিগ
মোহনবাগান: চার্চিল ব্রাদার্স (মারগাও ৩-৩০)
মুম্বই এফসি: সালগাওকর (পুণে)। |