|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৮ জানুয়ারি- ১৪ জানুয়ারি |
|
ইয়াঙ্গন ইসলামাবাদ দামাস্কাস তেহরান রোম |
|
মায়ানমার দেশটিতে বদল কি তা হলে সত্যিই আসছে? শুক্রবার ৬৫১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হল ‘প্রেসিডেনশিয়াল পার্ডন’ হিসেবে। বেশির ভাগই রাজনৈতিক বন্দি। কেবল তা-ই নয়, অত্যন্ত হাই-প্রোফাইল, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দি। যেমন ১৯৮৮ সালের বিক্ষোভে ধৃত বন্দিরা, বা ২০০৭-এ বৌদ্ধ সন্ন্যাসী বিক্ষোভ আন্দোলনে ধৃতরা মুক্তি পেলেন। সবচেয়ে বড় নাম, ১৯৮৮ সালে ধৃত বন্দি নেতা মিন কো নাইং। ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ-এর মতে, বর্তমান সময়ের সংস্কারের পথে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ এই বন্দিমুক্তির ঘটনাটিই।
• সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ একটি বক্তৃতা দিলেন। দুর্লভ ঘটনা। তাঁকে পাবলিক স্পিচ দিতে সহসা দেখা যায় না। জোরদার ভাষায় জানিয়ে দিলেন, কোনও মতেই পিছু হটছেন না। বলেছেন, দেশের জন-অভ্যুত্থানের পিছনে বাইরের দেশের হাত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর বক্তৃতার বিরোধিতা ও নিন্দায় মুখর হয়ে উঠেছে।
• ইরানের উপর যে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে আমেরিকার এশীয় ও ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলি সমস্বরে তাকে সমর্থন করল। উল্লেখযোগ্য দেশগুলি হল, ইজরায়েল, ব্রিটেন, ফ্রান্স।
• ইতালির পশ্চিম উপকূলে একটি পর্যটক ক্রুইজ জাহাজে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। চোরা মাটিতে আটকে সেটি ভেঙে যায়, হু হু করে জল ঢুকতে থাকে, ডুবন্ত হয়ে পড়ে। ৪০০০ যাত্রীর মধ্যে কয়েক জন নিহত, বাকিরা প্রাণে বেঁচেছেন।
|
• তিনি কি থাকবেন? তিনি কি যাবেন? সব চোখ এখন পাক প্রধানমন্ত্রী গিলানির উপর। তাঁর ভাগ্যই বলে দেবে পাকিস্তানে সামরিক শাসন ফিরতে চলেছে কি না। তার মধ্যেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য। বলছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দল যখন ‘লেফট, রাইট, সেন্টার’ সব দিক থেকে ভয়ানক আক্রমণের মুখে, সেই সময় তাঁর টিমের ‘পেস অ্যাটাক বোলার’ হলেন প্রেসিডেন্ট জারদারি! |
|
ঢাকা |
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ন’মাস এক দুঃসহ ইতিহাস। পাকিস্তানপন্থী ‘রাজাকার’ বাহিনীর নৃশংস হত্যা, ধর্ষণ, অত্যাচারের সময়। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ২০১০ সালে সেই সময়কার ‘অপরাধী’দের বিচার করার জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইবুনালের নির্দেশেই গ্রেফতার হলেন ৮৯ বছরের গুলাম আজম। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন আরও পাঁচ জন। রাজনৈতিক নিরিখে আজম তাঁদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুনাল’-এ তাঁর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল। অবশ্য, নিউ ইয়র্কের ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ জানিয়েছে, বাংলাদেশের ট্রাইবুনালের কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক মানের নয়।
|
পিয়ংইয়ং |
|
কিম মৃত, কিম দীর্ঘজীবী হউন। উত্তর কোরিয়ার ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট কিম জং-ইল-এর মৃতদেহ সংরক্ষিত হবে। যে প্রাসাদে তাঁর বাবা, দেশের স্বৈরশাসনের প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘শাশ্বত প্রেসিডেন্ট’ কিম ইল-সুং-এর সংরক্ষিত দেহটি আছে, সেখানেই শায়িত হবেন ‘শাশ্বত নেতা’ কিম জং-ইল। একুশ শতকের এই ‘মমির দেশ’-এ নতুন নেতা হয়েছেন কিম জং-আন, প্রয়াত রাষ্ট্রনেতার পুত্র। দেশের সামরিক-প্রশাসনিক কর্তারা এখন তাঁকে সর্বগুণান্বিত মহাবীর মহানায়ক বলে প্রমাণ করার জন্য প্রাণপাত করছেন, টেলিভিশনে দু’বেলা ঠিক বাবার মতো পোশাক পরে বাবার ভঙ্গিতে হাত নাড়ছেন তিনি। বাবার দেহটির প্রদর্শনী তাঁর গদি টিকিয়ে রাখার জন্য বিশেষ জরুরি নিশ্চয়ই।
|
তেহরান |
আঠাশ বছর বয়সী আমির মিরজাই হেকমতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের একটি আদালত। ইরানি বংশোদ্ভূত এই তরুণের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মিশিগান নিবাসী তাঁর বাবা জানিয়েছেন, আমির ঠাকুমা-দিদিমাদের দেখতে ইরানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তেহরানের অভিযোগ, তিনি সি আই এ’র চর, ইরাকে ও আফগানিস্তানে মার্কিন ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ইরানে ঢুকেছিলেন। ওয়াশিংটন আমিরের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে তেহরানে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের অন্যতম পরমাণু বিজ্ঞানী মোস্তাফা আহমদি-রোশন। ইরানের পারমাণবিক গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীদের ওপর এর আগেও অনেকগুলি আক্রমণ হয়েছে। মার্কিন-ইজরায়েলি চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে, স্বভাবতই। এমনকী ইজরায়েলের কিছু সংবাদপত্রেও সেই অভিযোগের প্রচ্ছন্ন সমর্থন।
|
ভিক্টোরিয়া ফলস্ (জিম্বাবোয়ে) |
বানজি জাম্পিং জনপ্রিয় অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। কিন্তু এরিন ল্যাংওয়ার্থি জামবেজি নদীর ওপর ভিক্টোরিয়া ফলস ব্রিজ থেকে লাফ দিতেই বাঞ্জির দড়িটি ছিড়ে যায়। তিনি সোজা নদীর তলায়। সেখানে আবার কুমিরদের আড্ডা। পা-বাঁধা অবস্থাতেই প্রাণপণ সাঁতরে তীরে পৌঁছোন এরিন। সামান্য চোট-আঘাত, নিরাপদেই আছেন তিনি।
|
শেষ পাত |
ওয়াশিংটন ডিসি’র নানা মহলে জোর গুঞ্জন, মিশেল ওবামা যা বলেন সেটাই নাকি হোয়াইট হাউসে বেদবাক্য। সম্প্রতি এই গুঞ্জনের সুর চড়েছে, কারণ মার্কিন সাংবাদিক জোডি ক্যান্টর-এর ‘দি ওবামাস’ নামক নতুন বইটি বলছে, তিনি আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়েন বলে হোয়াইট হাউসের নানা অফিসারের সঙ্গে মাঝে মাঝেই তাঁর মনোমালিন্য হয়। ‘ফার্স্ট লেডি’র জবাব: এ সব কথার কোনও মানেই নেই, বস্তুত তাঁর ‘এক ধরনের ক্রুদ্ধ কৃষ্ণাঙ্গিনী’র যে ভাবমূর্তি প্রচারিত হচ্ছে, তাতে তিনি ক্লান্ত এবং বিরক্ত। প্রসঙ্গত, হিলারি ক্লিন্টন যখন প্রেসিডেন্ট-পত্নী, তখনও এমন কথা শোনা যেত। |
|
|
|
|
|