কারখানা গড়তে ৪০০ কোটি রাজ্যে লগ্নি করবে টিভিএস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মারুতির আঞ্চলিক হাব-এর পরে এ বার মোটরসাইকেল সংস্থা টিভিএস-এর কারখানা।
শনিবার বেঙ্গল লিডস-এর শেষ দিনে রাজ্যের ঝুলিতে এল দেশের তৃতীয় বৃহৎ মোটরসাইকেল সংস্থা টিভিএস-এর লগ্নির প্রতিশ্রুতি। সংস্থার দাবি, আগামী পাঁচ বছরে এই লগ্নির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে।
ছ’দিনের শিল্পমেলা বেঙ্গল লিডস-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন টি ভি এস মোটরস-এর চেয়ারম্যান বেণু শ্রীনিবাসন। তিনি এ দিন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে মঞ্চে ঘোষণা করেন, রাজ্যে সংস্থার চতুর্থ বৃহৎ কারখানা তৈরি হবে। আর এই কারখানাটির হাত ধরেই যন্ত্রাংশ নির্মাণের পার্ক গড়ে তোলার আশ্বাসও দেন তিনি।
অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের মহাভারত মোটরস-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এ রাজ্যে প্রথম পা রাখে টিভিএস। প্রসূনবাবু জানান, হাওড়ায় ৪৪ একর জমির উপর কারখানা তৈরি করেছে তাঁর সংস্থা। লগ্নির পরিমাণ ১২০ কোটি টাকা। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে টিভিএস-এর বিশেষ কোনও লগ্নি ছিল না। এখন অবশ্য গোটা প্রকল্পটির দায়িত্ব নিয়েছে টিভিএস। যৌথ উদ্যোগে ছেদ টেনে নিজেরাই এই প্রকল্প চালাবে টিভিএস। এখন আদালতের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানান শ্রীনিবাসন ও প্রসূনবাবু, দু’জনেই। |
একই মঞ্চে শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বেণু শ্রীনিবাসন ও প্রসূন মুখোপাধ্যায় (বাঁ দিক থেকে)। — নিজস্ব চিত্র |
টিভিএস-এর জাতীয় সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। শ্রীনিবাসন জানান ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় কারখানাটি তৈরি করা হবে। আপাতত তামিলনাডু, কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশে এ ধরনের কারখানা রয়েছে। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে এই কারখানায় মাসে তৈরি হবে ২০ হাজার মোটর-সাইকেল। ধাপে ধাপে লগ্নি করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে সেই পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।” পূর্বাঞ্চলের বাজারে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে এই কারখানাকেই এখন বাজি ধরছে টি ভি এস।
মারুতি, টি ভি এস-এর বিনিয়োগ টানার পাশাপাশি এই শিল্পমেলা আরও অনেক লগ্নিকারীর নজর কেড়েছে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এই দাবি করে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “১২০টি সংস্থা যোগ দিয়েছে এখানে। সকলকেই আমরা বলেছি দ্রুত আর্থিক উন্নয়ন আনতে রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। দল ও সরকারের মতের মধ্যে এ ক্ষেত্রে কোনও পার্থক্য নেই।” একই সঙ্গে তিনি জানান, এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরও উন্নত মানের শিল্পমেলা ও সম্মেলনের আয়োজন করবে রাজ্য। |