|
|
|
|
|
|
পর্দার বাইরে তনুশ্রী চক্রবর্তী-র মুখোমুখি হলেন পথিক পণ্ডিত |
দেড়শো পুরুষের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন?
(হি হি হি হাসি) স্কুলের বাস যেখানে নামাত, সেখান থেকে কিছুটা পথ হেঁটে বাড়ি আসতে হত। ওই হাঁটার পথে তখন প্রায় প্রত্যেক দিনই কেউ না কেউ প্রোপোজ করতই। সেই সময় একটা লিস্ট বানিয়েছিলাম, হিসেবটা রাখার জন্য। কলেজ অবধি ওটা দেড়শো ছাড়িয়েছিল!
‘উড়ো চিঠি’র পর লোকজন আপনাকে টলিউডের সবচেয়ে সাহসী অভিনেত্রী বলে মনে করছেন। তা ‘বেডরুম’-এ আপনি কতটা সাহসী?
তনুশ্রী: (হি হি হি হাসি) লোকজন বলছেন মানে তাঁরা ভেবেই বলছেন। আমি কিন্তু অভিনয় করার সময় কিছু ভেবে করিনি। আমার তখন মনে হয়েছিল রোলের সঙ্গে এটা করা উচিত, আমি করেছি। আমার বিশ্বাস, সব জামাকাপড় খুললেই বোল্ড হয় না। বোল্ড মানে মানসিকতায় কতটা বোল্ড। এটাও বিশ্বাস, একটা সিন যথেষ্ট সেক্সসুয়াল করা যায় মুখের এক্সপ্রেশনে। তবে বিশ্বাস করি আর না করি, ডাজ নট ম্যাটার। চরিত্র ডিমান্ড করলে করব।
‘বেডরুম’-এর তানিশার সঙ্গে তনুশ্রীর কতটা মিল পান?
তনুশ্রী: বেডরুমের তানিশা প্রস্টিটিউট, বাস্তবের তনুশ্রী কিন্তু তা নয়। তানিশা সাইকোপ্যাথ, তনুশ্রী তাও নয়। তানিশা ইনোসেন্ট, তনুশ্রী সেটাও নয়। একটা জায়গাতেই মিল, সেটা হল তানিশা স্বপ্ন দেখে, তনুশ্রীও। (হাসি)
কী স্বপ্ন দেখেন?
তনুশ্রী: প্রচুর। সিনেমা নিয়ে, আমার পাশের লোকেদের নিয়ে। ভাল কাজ করার বা এক্সাইটিং, ডিফারেন্ট কাজ করার। পিছিয়ে পড়ার নয়, এগিয়ে চলার।
তা হলে তো বলতেই হয় আপনি আনন্দবাজারের একনিষ্ঠ পাঠক?
তনুশ্রী: অব কোর্স। আমার বাড়িতে আনন্দবাজার আসে তো।
রুদ্রনীলের সঙ্গে সম্পর্কটা?
তনুশ্রী: এটা মিডিয়ার তৈরি। রুদ্র আমার ভীষণ ভাল বন্ধু। গ্রেট অ্যাক্টর, গ্রেট কো-অ্যাক্টর। কোনও ডিসিশন নিতে গিয়ে আমার কাছে যদি কঠিন ঠেকে, তা হলে রুদ্রর কাছে অ্যাডভাইস নিই। রুদ্রর ওপর অনেকটাই আমি ডিপেন্ডেন্ট।
‘বেডরুম’ রিলিজের পর পুরুষ ফ্যানরা কি খুব প্রশংসা করছে?
তনুশ্রী: দারুণ প্রশংসা পাচ্ছি। শুধু আমাকেই নয়, গোটা ছবিটাকেই ভীষণ ভাল বলছে। রিলিজের পরে তো আমার মোবাইলে প্রচুর মেসেজ ও ফোন আসার ফলে হ্যাং করে গিয়েছিল। (হাসি)
অভিনয়ের বাইরে কী ভাল লাগে?
তনুশ্রী: আড্ডা মারতে। মুভি দেখতে। ঘুরতে। রান্না করতে।
প্রথম প্রেমে কবে পড়েছিলেন?
তনুশ্রী: ক্লাস সিক্সে। এক বার একটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে একটি ছেলে আসত। তাকে দেখে হিউজ ক্রাশ, একেবারে প্রেমে হাবুডুবু। কিন্তু ওই দূরে দূরেই প্রেম। কথাই বলিনি।
জীবনসঙ্গী হিসেবে কেমন পুরুষ পছন্দ?
তনুশ্রী: যে নিজের কাজটা করতে জানে। তাকে তার কাজের প্রতি প্যাশনেট হতে হবে। সে যদি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়, তাকে অ্যাকাউনট্যান্সিতে বেস্ট হতে হবে। সে যদি ঘোড়ার ঘাস কাটে, তাকে ঘাস কাটায় ফার্স্ট হতে হবে। কাজ ছাড়া অন্য কিছুকে বেশি পাত্তা দেওয়া চলবে না, আমাকেও নয়। |
|
এমন কাউকে পেয়েছেন?
তনুশ্রী: না, এখনও তো পাইনি, খুঁজছি। প্লিজ, হেল্প করুন। কলকাতায় ছেলের বড় অভাব! (হি হি হি হাসি)
লাভ ম্যারেজ না অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ?
তনুশ্রী: অব কোর্স লাভ ম্যারেজ। চিনি না শুনি না বিয়ে করে মরব!
স্কুল-কলেজে ছেলেদের প্রচুর ঝাড়ি করতেন না?
তনুশ্রী: (হাসি) প্রচুর। কেন করব না বলুন তো। সুন্দরী দেখতে হয়েছি, একটু অ্যাডভান্টেজ তো নেবই। না হলে ভগবান বলবে, এই রে, তোকে এত সুন্দর করে বানিয়ে পাঠালাম, তুই কিছুই তো করলি না!
আপনি তো মডেলিং, অ্যাড ফিল্মও করতেন? সুযোগ আসে কী ভাবে?
তনুশ্রী: হ্যাঁ স্কুলজীবন থেকেই মডেলিং শুরু করি। সুযোগটা আসে অদ্ভুত ভাবে। কোনও দিন ভাবিনি আমি মডেলিং করব। এক দিন স্কুল থেকে বেরোচ্ছি, এক জন এসে বলল, এত সুন্দর দেখতে, এত ভাল হাইট, এত সুন্দর ফিগার, মডেলিং করো না কেন? আমি বললাম, মডেলিং সম্বন্ধে আমার কোনও আইডিয়া নেই। উনি বললেন, ঠিক আছে আমি সাহায্য করব। আমার ওয়ার্কশপে জয়েন করো। বাড়িতে না জানিয়েই শুরু করেছিলাম। দিন তিনেক যাওয়ার পর বাড়িতে জানিয়েছিলাম।
বাড়িতে জানাননি অশান্তির ভয়ে?
তনুশ্রী: আমাদের বাড়ি খুব কনজারভেটিভ। বাড়িতে তুমুল অশান্তি বেধে গেল। বাবা বললেন, আমার মেয়ে হয়ে কিনা তুমি মডেলিং করবে, এটা হতে পারে না।
আপনার জন্ম? ছোটবেলা কোথায় কেটেছে? পরিবার? স্কুলিং?
তনুশ্রী: অরবিন্দ নগরেই আমার জন্ম। ছোটবেলা এই বাড়িতেই কেটেছে। বাড়িতে বাবা-মা আর বোন আছে। আমার স্কুলিং কমলা গার্লস স্কুল। এবং বাসন্তী দেবী কলেজ থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে অনার্স।
পাওলির ‘ছত্রাক’ নিয়ে কোনও কমেন্ট?
তনুশ্রী: দেখুন, পাওলি এক জন ব্রিলিয়ান্ট অ্যাক্টর। আমার ভীষণ পছন্দের। ও যেটা করেছে ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার।
পাওলির জায়গায় যদি আপনি সুযোগ পেতেন, করতেন?
তনুশ্রী: যে মুহূর্তে এই অফারটা দেওয়া হত, সে মুহূর্তে যদি আমার মন বলত ‘হ্যাঁ’, তা হলে করতাম, যদি ‘না’ বলত, তবে করতাম না। আমার প্রত্যেক মুহূর্তে মাইন্ড চেঞ্জ হয়। করতাম কি করতাম না, এখন বলতে পারব না। (হাসি) |
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• রাজ্যে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাবে শিক্ষক বা অধ্যক্ষ নিগ্রহ শুরু হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে নিয়োগের আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে গণধোলাই হজম করার পরীক্ষাও নেওয়া হোক!
পল্লব চক্রবর্তী।
• গাজল শিক্ষামন্ত্রীর উচিত অধ্যক্ষের চাকরিতে এ বার থেকে কারাটে বা কুস্তি জানাটা বাধ্যতামূলক করা।
গৌতম।
• রামরাজাতলা এ কেমন বিচার দিদি, আমরা-ওরা দু’দলই পেটালাম টিচার, তবু আমাদের ‘ছোট্ট’ ভেবে করে দিলেন ‘এলে বেলেবেল’; আর ওই দামড়াগুলো ‘নন-বেলেবেল’!
সুশান্ত ঘোষাল।
• কালনা সারা পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষায় এখন শুধু রক্ত‘তিলক’-এর ছাপ!
সায়ন্তন দত্ত।
• রবীন্দ্রপল্লি আবগারি দফতরের সচিব এ বার অর্থ দফতরের নতুন সচিব হলেন। রাজ্যের আর্থিক অবস্থা আরও টালমাটাল না হয়ে পারে?
সঞ্জীব।
• দিল্লিতে কংগ্রেস লোকপাল পাস করতে পারল না, এ রাজ্যের তৃণমূলের পর্যটন মন্ত্রী রচপালও নাকি শোনা যাচ্ছে ফেল-এর পথে! এ তো দেখছি সত্যিই পালে পালে ফেল!
গুপী।
• গুপ্তিপাড়া পরিবর্তনের পরে শীলা ‘জওয়ানি’ ফিরে পেল, চামেলি ‘চিকনি’ হয়ে গেল, ‘মুন্নি’রও বদনাম ঘুচে গেল, তবু কংগ্রেসের ‘বি-টিম’ বদনাম গেল না!
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর
• ২০১২-র প্রথম সপ্তাহে কলকাতার আবহাওয়া দেখে সন্দেহ জাগে দিদি ভুল করে আবার কলকাতাকে চেরাপুঞ্জি বানিয়ে ফেলেননি তো!
রহস্যময়। চন্দননগর
• মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে কার্যকর হওয়ার পর এ বার নম্বর না পাল্টে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বদলের সম্ভাবনা প্রেম এক রেখে প্রেমিকা বদলের ভাবনা মনে জাগিয়ে তুলছে!
রোমিও-২০১২।
• বিদেশের মাটিতে টিম ইন্ডিয়া যে ভাবে ল্যাজে গোবরে হচ্ছে সেই গোবরে ঘুঁটেও হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ক্রিকেটপ্রেমীরা!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া
• হোয়াটমোরের বিদায়ের পর কে কে আর-এ প্রশ্ন: নেক্সট ইজ হোয়াট?!
সায়ন্তন। |
|
|
১৯৪২ সালে আমার বয়স বারো। ঐতিহাসিক অগস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে যিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করতেন, তিনি এক বাঙালি নেত্রী। একে একে ইংরেজ শাসকদের হাতে তাঁর সঙ্গীরা ধরা পড়লেও আপ্রাণ চেষ্টা করেও তারা ওঁকে ধরতে পারেনি।
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য অফিসের ভারপ্রাপ্ত অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলাম। অন্যতম দায়িত্ব ছিল দিল্লির প্রধান সংবাদপত্রগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা, যাতে পশ্চিমবঙ্গের কভারেজ ভাল হয়। সেই সুবাদেই পরিচিত হলাম তাঁর সঙ্গে। |
কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ সান্যাল |
|
তিনি তখন ‘পেট্রিয়ট’ পত্রিকার কর্ণধার। প্রথম আলাপেই আমি আমার কৈশোরের অ্যাডভেঞ্চার নায়িকার গল্প করতে তিনি হেসে উঠেছিলেন। সাদা কাপড় পরা, মাথায় সাদা চুল ষাটোর্ধ্ব তিনি এ বয়সেও যথেষ্ট রূপসী ছিলেন। আমি বঙ্গভবনে থাকি শুনে তিনি বললেন, শুনেছি ওখানে খুব ভাল বাঙালি মাছের ঝোল পাওয়া যায়।
খাওয়াবে? এর পরেও আমি নানা প্রয়োজনে তাঁর কাছে গিয়েছি। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য কোনও বারই বঙ্গভবনে মাছের ঝোল খেতে যাওয়ার সময় পাননি। ওই দু’টি প্রদর্শনীতে আমার সঙ্গে তোলা দু’টি ফটো আজও আমার অ্যালবামে রক্ষিত আছে, যা দেখলে এখনও আমার আফসোস হয়, তাঁকে আমি বঙ্গভবনে মাছের ঝোল খাওয়াতে পারিনি। ইলাহাবাদে প্রবাসী গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের কন্যা এই প্রবাদপ্রতিম অগস্ট বিপ্লব নায়িকাই স্বনামধন্য অরুণা আসফ আলি, যাঁর স্বামী সে যুগের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ব্যারিস্টার আসফ আলি। স্বাধীনতার পরে সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই বামপন্থী নেত্রী ‘পেট্রিয়ট’ পত্রিকার ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, ১৯৫৮ সালে দিল্লির মেয়র, ১৯৯৬ সালে ৮৭ বছর বয়সে তাঁর বর্ণময় জীবনের অবসান ঘটে। ১৯৯৭ সালে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ পান। |
|
রায়গঞ্জ থেকে রামপুরহাট, মাঝখানে মাজদিয়া,
তরুণের দলে ফুটবল খেলে প্রিন্সপালেরে নিয়া।
এ পোড়ার দেশে সবই খেলাধুলা,
কেউ পায় বেল, কেউ, না।
সকলে রয়েল বঙ্গ ব্যাঘ্র জঙ্গলে কেউ ফেউ না।
এ ঘুঁটে মালার পাত্র
হও মুখপোড়া ছাত্র। |
|
|
|
|
বিনিয়োগ নিয়ে সভায় পড়ে থাকা ফাঁকা
জমি অবিলম্বে অধিগ্রহণ করতে হবে! অনুপম সেন, বিবেকানন্দ রোড |
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
তখন ২৩। বাবা বিয়ের জন্য চারিদিকে পাত্রের সন্ধান করছেন। গায়ের রং শ্যামবর্ণ। বাবা যেখানেই সুপাত্রের সন্ধান পান সেখানেই ছবি ও বায়োডাটা দিয়ে ছেলের খোঁজখবর নিয়ে আসেন। এর মধ্যে বাড়িতে কনে দেখানোও চলছে। জ্যৈষ্ঠ মাস নাগাদ বাবা এক সুপাত্রের সন্ধান পেলেন। পাত্র ভাল চাকুরি করে। বাবা দুপুরেই গেলেন পাত্রের বাড়ি, ডোর বেল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই এক ভদ্রমহিলা বেরিয়ে এলেন, সম্ভবত পাত্রের মা। উনি এসেই সোজাসুজি বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন মেয়ের রং ফর্সা তো? বাবা বললেন না, আমার মেয়ে ফর্সা নয়, তবে বি এ পাশ। উনি কোনও কথা আর না শুনেই মুখের ওপর দরজাটা বন্ধ করে দিলেন। বাবা ওই গরমে ঘর্মাক্ত শরীরে বিষণ্ণ মুখে বাড়ি ফিরে এলেন। তার পর মাস ছয়েকের মধ্যেই খুব ভাল ঘরেই আমার বিয়ে হয়ে যায়। বাবা আজ নেই। আমারও পঞ্চাশের ওপর বয়স, কিন্তু এখনও সেই ঘটনার কথা চিন্তা করলে কান্নায় আমার গলা বুজে আসে।
স্নিগ্ধা গঙ্গোপাধ্যায়, চুঁচুড়া |
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের। ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান। ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|