তৃণমূলের সম্মেলনে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহারের গোষ্ঠী কোন্দল এবার প্রকাশ্যে এল। শুক্রবার কোচবিহার শহরের রবীন্দ্র ভবনে ওই কনভেনশনের ডাক দেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক তথা সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি কুমার রাজীব নারায়ণ। তাঁর অনুগামীরা সেখানে সংগঠনের কোচবিহার জেলার বর্তমান সভাপতি তথা তুফানগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধানের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হন। প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা কনভেনশনে রাজীববাবু কে ফের জেলা সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনার দাবিও তোলেন। তাতে ক্ষুব্ধ বর্তমান জেলা যুব তৃণমুল সভাপতি শিবির। অর্ঘ্যবাবু অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এসব নিয়ে কিছু বলতে চাননি। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেছেন, “আমি ওই কনভেনশনে স্বামীজির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে আসি অন্য কিছু জানা নেই।” তৃণমূল যুব কংগ্রেস সুত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে সংগঠনের জেলা সভাপতি পদ থেকে রাজীবনারায়ন কে সরিয়ে অর্ঘ্যবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার পর থেকেই দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত রাজীব নারায়ণের অনুগামীদের সঙ্গে অর্ঘ্যবাবুর শিবিরের চাপানউতোর চলছিল। এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আয়োজিত কর্মী কনভেনশনে তা চরম আকার নেয় কনভেনশনের অন্যতম উদ্যোক্তা তথা প্রাক্তন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাজীব নারায়ণ বলেন, “যুব সংগঠনের পটভুমি জেলায় দুর্বল হয়ে গিয়েছে যুব সভাপতির নিষ্ক্রিয়তায় সংগঠন আন্দোলন বিমুখ হয়ে পড়েছে। সে জন্য বিধানসভা নির্বাচনেও কোচবিহারে উত্তর ও দক্ষিন কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী হেরে যান। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল একক ভাবে লড়লেও যাতে সেরকম সমস্যা না হয় তা ভেবেই কর্মীদের চাঙ্গা করতে ওই কনভেনশনে আলোচনা হয়েছে।’’ পাশাপাশি রাজীব বাবুর অভিযোগ, কংগ্রেসের কিছু নেতা সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন। কনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোচবিহার পুরসভার দলের কাউন্সিলার দিলীপ সাহা বলেন, “এক বছর থেকে সংগঠনের কোনও কর্মসূচি নেই। ফের সভাপতি হিসাবে রাজীবদা কে চাই।” জেলা যুব তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক তরুন রায়ও বলেন, “রাজীব নারায়ণকে সভাপতি থেকে সরানোর পর জেলায় সংগঠন সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে।’’ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলার বর্তমান যুব তৃণমুল সভাপতি শিবির। কোচবিহার জেলা যুব তৃণমুলের সভাপতি অর্ঘ্য রায়প্রধান বলেন, “আমি সভাপতি হবার পর থেকে সংগঠন ঠিক করতে যখন যা প্রয়োজন হয়েছে সেভাবে আন্দোলন করেছি। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। কে কি বললেন সে সব নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।” অর্ঘ্যবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত আরেক নেতার কথায়, “আজ যা হল তাতে সংগঠন চাঙ্গা কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে দলের মধ্যে কাজিয়া যে বাড়বে সেটা ওরাই নিশ্চিত করে দিয়েছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.