লক্ষ লোকের ভিড় সাগরে। প্রতেক্যেরই নিজস্ব মনোস্কামনা, চাওয়া-পাওয়া। চোর-ছ্যাঁচোর, গাঁটকাটারাও ঘুরছে যে যার ধান্দায়। এত লোকের মাঝে ফেরেব্বাজদের পোয়া বারো। সব ক্ষেত্রে অবশ্য নয়। বেলা তখন প্রায় ১১টা। হঠাৎই এক মহিলার গলার হারে হ্যাঁচকা টান দিল এক যুবক। মহিলা রে রে করে উঠলেন। পিছন ফিরে দে দৌড়ের আগেই চোর খপাত। জানা গেল, তিন পুলিশ কর্মীও ছিলেন তক্কে তক্কে। সাদা পোশাকে থাকায় চোর দেখে বিপদটা ঠাহর করতে পারেনি। |
‘অত্যুৎসাহী’ তীর্থযাত্রীদের সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনকে। রাত জেগে সাগরের ধারে পাহারা দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুক্রবার রাতে কয়েক জন যুবক হইহই করতে করতে নেমে গেলেন জলে। এ দিকে তখন জোয়ার চলছে। দেখতে পেয়েই ‘ভাগো ভাগো’ চিৎকার করতে করতে ছুটে এলেন কয়েক জন জওয়ান। ধমকে-ধামকে সকলকে ফেরত পাঠালেন তাঁবুর দিকে। |
গঙ্গাসাগরে তীর্থকর মকুব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কারণেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। শুক্রবার গঙ্গাসাগরে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসার পাশাপাশি গঙ্গা দূষণ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “গঙ্গায় বাঁধ দেওয়ায় কারণে দূষণ হচ্ছে। দূষণ হচ্ছে বর্জ্য পদার্থ জলে ফেলার জন্যও। সরকারের কোনও হুঁশ নেই।’’ |
সারা দেশেই প্রত্যন্ত জেলাগুলিতে পোলিও কর্মসূচি রূপায়ণে সমস্যা আছে। তাই গঙ্গাসাগর মেলাকে এ বার বিশেষ পোলিও কর্মসূচির আওতায় এনেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। একাধিক গাড়িতে ঘুরে ঘুরে চলছে প্রচার আর পালস্ পোলিও খাওয়ানো। |