নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
গৃহবধূ কবিতা দেবনাথ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামলেন শামুকতলার ছোট চৌকিরবস গ্রামের বাসিন্দারা। তাতে সামিল হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। সিপিএমের তরফে বিক্ষোভ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। গৃহবধূর গ্রামের বাসিন্দারা সভা করে আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চ। এ দিকে নির্যাতিতা বধূকে সাহায্যের জন্য প্রশাসনিক স্তরেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের বিডিও সৌমেন মাইতি বলেন, “কবিতা দেবীকে সাহায্যের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” বৃহস্পতিবার ছোট চৌকিরবস গ্রামের বাসিন্দারা সভা করে কবিতা দেবী নির্যাতনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুভাষ দেবনাথকে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা ওই বধূর উপরে অত্যাচার করেছে। অন্তত পাঁচবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কবিতা দেবীর স্বামী ধনেশ্বর দেবনাথ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করেনি। শুরু থেকে দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এমনকী একবার স্থানীয় থানার পুলিশ কবিতা দেবীর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। অবশেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলে অভিযোগ নেওয়া হয়। ছেট চৌকিরবস গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ বিশ্বাস, অজিত দেবনাথ বলেন, “শুরু থেকে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না। মূল অভিযুক্ত সুভাষ দেবনাথ গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জমিতে কাজ করছে। ওই সমস্ত ঘটনার কথা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের জানাতে শনিবার মহকুমাশাসক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।” এ দিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সিপিএম। স্থানীয় সিপিএম নেতা সদান সিংহ বসুমাতা বলেন, “দলের তরফে কবিতা দেবীকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। এ ছাড়াও নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সভারও ডাক দেওয়া হয়েছে।” তবে শুধু কবিতা দেবী নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এর আগে চেপানি গ্রামে শিপ্রা পণ্ডিত নামে এক অসহায় মহিলার জমি দখলের ঘটনায় পুলিশ সঠিক ভূমিকা নেয়নি। জমি দখলমুক্ত করার বদলে দখলকারীদের সাহায্য করেছে। কুমারগ্রামের সীতা ছেত্রীকে ধর্ষণের পরে খুন করা হলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ কর্তারা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “শিপ্রা পণ্ডিতের ঘটনার তদন্ত চলছে। সীতা দেবী খুনের ঘটনায় জড়িতদের এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। কবিতা দেবী নির্যাতনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজন আছে তাকেও ধরা হবে।” |