|
|
|
|
সরকারের ‘কাজ’ নিয়ে প্রচারও চান মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দিঘা |
তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ হলে সরকারি ভাবে ‘রিজয়েন্ডার’ দেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল উৎসবের মঞ্চ থেকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শুক্রবার দিঘায় ‘সৈকত উৎসব’ উদ্বোধনের আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জোর দিলেন সরকারের কাজকর্ম ‘ঠিকঠাক’ তুলে ধরার উপরে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ-সহ একাধিক সচিব এবং আট-আট জন মন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৈঠক চলাকালীন সরকারের কাজকর্ম জনসমক্ষে তুলে ধরতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য জেলা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক দেবাশিস রায়কে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী খানিক ক্ষোভের সঙ্গেই বৈঠকে জানান, সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার হচ্ছে। কাজকর্ম হচ্ছে না বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সরকার যে সব কাজ করছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরা দরকার।
অর্থাৎ ‘অপপ্রচার’-এর জবাব দিতে ‘রিজয়েন্ডার’ এবং সরকারি কাজের প্রচারদু’টো পথেই তাঁর সরকারের সমালোচনার মোকাবিলা করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার জন্য রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কী কী করেছেন, তা-ও স্মরণ রিয়ে দেন। ফের একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প-পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয় এ দিনের বৈঠকে। নন্দীগ্রামে জেলা হাসাপতাল তৈরি, তমলুক জেলা হাসপাতালের মানোন্নয়ন, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, খেজুরি হাসপাতালের উন্নয়ন, ‘জল ধরো জল ভরো’ কর্মসূচিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জেলার রাস্তাঘাট সংস্কারে গতি আনা, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে আরও বেশি মানুষকে কাজ দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘা উপকূলের ভাঙন রোধে পরিবেশ, সেচ, পর্যটন, নগরোন্নয়ন দফতর মিলে সুসংহত পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে। বৈঠক থেকে একটু আগে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে মানসবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ভাঙনরোধে পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছেন। দ্রুত সেই কাজ করব।” মুখ্যমন্ত্রী নিজেও উৎসব-মঞ্চে বক্তৃতায় দিঘা উপকূলের ভাঙন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্য, “বাম সরকার ভাঙন রোধে কিছু করেনি। সংস্কারের কাজও ঠিকমতো হয়নি। আমরা বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থ সাহায্যে একাধিক দফতর মিলে পরিকল্পনা তৈরি করে ভাঙন রোধে পদক্ষেপ করব।” |
|
|
|
|
|