|
|
|
|
ভুয়ো মাস্টাররোল, ধৃত সুপারভাইজার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইঁদপুর |
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ভুয়ো মাস্টার রোল জমা দিয়ে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে এক সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আব্দুর রফিক মল্লিক। ইঁদপুর থানার সাতসগড়িয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার খাতড়া আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেলাহাজত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুর রফিকের বিরুদ্ধে ভুয়ো মাস্টার রোল জমা দিয়ে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল। প্রশাসন তদন্ত শুরু করে অভিযোগের সপক্ষে প্রামাণ্য তথা পায়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের কাছে রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ইঁদপুরের বিডিও প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এর পর থেকেই রফিক পলাতক ছিলেন। ইঁদপুরের বিডিও প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, গৌড়বাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় এক বাসিন্দার আড়বাঁধে মাটি কাটার কাজ হয়েছিল। ওই কাজের জন্য বরাদ্দ হয় ২ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। বিডিও বলেন, “প্রথমে অভিযোগ এসেছিল পুকুর মালিকের অনুমতি না নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, কাজে দুর্নীতি করা হয়েছে।” তাঁর দাবি, “১৩১ জন শ্রমিক ২৯ ও ৩০ ফেব্রুয়ারি ওই কাজ করেছেন বলে মাস্টার রোলে লেখা ছিল। কিন্তু গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারিতেই মাস শেষ হয়েছিল। এতেই প্রামাণিত হয়, উল্লেখিত দিনগুলিতে কোনও কাজ হয়নি। জমা দেওয়া মাস্টার রোল ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়।” বিডিও জানান, পুলিশের কাছে ওই সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত প্রধান বিলেম্বর সরেনকে শো-কজ করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, “ওই ঘটনায় আমি জড়িত নই। পুকুর মালিকের অনুমতি নিয়ে কাজ করা হয়েছিল বলে সুপারভাইজর আমাকে জানিয়েছিলেন। তবে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে তাঁর শাস্তি হোক।” আব্দুর রফিক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|