দিঘায় ‘সৈকত উৎসব’ চলছে রাজ্যের পর্যটন দফতরের উদ্যোগেই। অথচ খোদ পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহই সেখানে নেই। তিনি গরহাজির কেন?
এই প্রশ্নের জবাবে সরকারি ভাবে বলা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশেই রচপাল গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন। তাঁকে সাগরমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রচপালও বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে সাগরমেলার নিরাপত্তার দিকগুলো দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সেই নির্দেশই পালন করছি।” রচপালের কাজে মুখ্যমন্ত্রী যে সন্তুষ্ট নন, তা আর গোপন নেই। মন্ত্রিসভা কিংবা মন্ত্রী-আমলাদের নিয়ে বৈঠকে সকলের সামনেই তাঁর কাজকর্মের ব্যাপারে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন মমতা। পৌষসংক্রান্তির পরে মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটাবেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বদবদলে রচপালের উপরে কোপ পড়তে চলেছে, এই গুঞ্জন আরও গতি পেয়েছে সৈকত উৎসবে। পর্যটনসচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ যেখানে উপস্থিত, সেখানে গরহাজির মন্ত্রী রচপাল। তাতে অবশ্য ‘ক্ষোভ’ নেই পর্যটনমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “নাচ-গানের চেয়ে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর নিরাপত্তা সরকারের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ সাগরমেলায় আসেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতেই আমি সাগরে চলে এসেছি। মেলা শেষ হলে ফিরব।” তিনি জানান, এ বারেই প্রথম কপিল মুনির মন্দির ও মেলা চত্বর আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। এতে বাইরের রাজ্যে নতুন বার্তা যাবে। রচপাল ছাড়াও সাগরমেলায় আছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সমবায়মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল। |