সঙ্গীত সমালোচনা...
সংকট নিরাময়ে
পৃথিবীতে এখন নানা ধরনের সংকট চলছে। সমাজটা আজ সংকট এর মুখোমুখি। এই যন্ত্রণাকে অনুভব করে একটি সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দিলেন স্মৃতি লালা পরিচালিত রাগ-অনুরাগ মিউজিক রিসার্চ অ্যাকাডেমি। জি ডি বিড়লা সভাঘরে সংস্থার ১১তম বর্ষে ‘ক্রাইসিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে। এ দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘বিশ্বভরা গান’। স্মৃতি লালা, রুমা মুখোপাধ্যায়, সুতপা চক্রবর্তী, মঙ্গল দাস এবং দেবাশিস মজুমদারের কণ্ঠে ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’, ‘নমো নমো’, ‘শঙ্খ বাজিয়ে মাকে’, ‘দূর দ্বীপ বাসিনী’ সহ বেশ কয়েকটি গান। যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়, পরিমল চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ সেনগুপ্ত, ব্রজমানিক দাস, ঋত্বিক মিত্র, সুকান্ত বণিক এবং দেবাশিস হালদার। মলয় পোদ্দার ও স্মৃতি লালার গ্রন্থনা ও আবৃত্তি প্রশংসনীয়। সব শেষে এ দিনের আমন্ত্রিত শিল্পী পূর্ণিমা চৌধুরীর গান মুগ্ধ করেছে।

একাই শোনালেন সব
সম্প্রতি শিশিরমঞ্চে গানের অনুষ্ঠান শুরু হয় নূপুরছন্দার কণ্ঠে মঙ্গলস্তোত্র দিয়ে। তার পর ৪৫জন ছাত্রছাত্রীর কণ্ঠে রজনীকান্ত সেনের ‘পূর্ণজ্যোতি তুমি’। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সুরশৈলীর মেলবন্ধনে বাংলা গানে যে প্রাণ সঞ্চার দ্বিজেন্দ্রলাল করেছেন তা তুলনারহিত। তেমনই দুটি গান সমবেত কণ্ঠে শোনা গেল ‘মা পতিতোধারিণী গঙ্গে’ এবং ‘আমরা মলয় বাতাসে’। একক গানের শুরু রজনীকান্তের ‘তোমারি দেওয়া প্রাণে’ ও পরে ‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে’ গানগুলি দিয়ে। কীর্তন গাইলেন, ‘আর কতকাল থাকব বসে’। এর পর ঠুংরি। ‘কে গো যায় যমুনায় জল আনিতে’, ‘জল বলে চল’ প্রভৃতি। পরে তিনি দ্বিজেন্দ্রলালের তিনটি নাটকের গান শোনান। দুর্গাদাস নাটক থেকে ‘হৃদয় আমার গোপন করে’ এবং সাজাহান নাটক থেকে ‘বেলা বয়ে যায়’। শেষ পর্যায়ের গানগুলি মূলত দেশাত্মবোধক গান। অতুল প্রসাদের ‘উঠো গো ভারতলক্ষ্মী’, রজনীকান্তের ‘আর কিসের শঙ্কা’, দিলীপকুমার রায়ের ‘ভারত রাত্রি প্রভাতিল যাত্রী’। ‘ধন ধান্যে পুষ্পভরা’ গানটি দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

অনন্ত আনন্দধারা
রবীন্দ্রসদনে গীতায়ন সঙ্গীত অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানের শিল্পী ছিলেন সুছন্দা ঘোষ ও গৌতমবরণ অধিকারী। এ ছাড়াও দু’জন নবাগতা ছিলেন তাঁরা খুব পরিণত নন। যেমন সুমিত্রা দাস ও স্নিগ্ধা কর আচার্য। তাঁদের স্বরস্থান দুর্বল ও কণ্ঠও খুব মনোগ্রাহী নয়। পাঁচটি গান শোনালেন সুছন্দা ঘোষ। শুরুতে ‘বহে নিরন্তর’ ও শেষে ‘তোমার আনন্দ ওই’। সুছন্দা গান করেন অর্থ বুঝে এবং গান নির্বাচনের সময়েও তিনি একটি ভাবনা চিন্তার রূপরেখা আঁকার চেষ্টা করেন। এ দিনও ব্যতিক্রম নয়। স্পষ্ট উচ্চারণ ও সঠিক সুরে তিনি প্রত্যেকটি গানকে শ্রুতিমধুর করে তুলেছিলেন। বিশেষ করে ‘আপনারে দিয়ে রচিলি রে কী এ’ এবং ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ উল্লেখের দাবি রাখে। সঠিক স্বরস্থান ও তালে দক্ষ শিল্পী গৌতমবরণ অধিকারী শোনালেন আটটি গান। গানগুলি নানা স্বাদের। কণ্ঠমাধুর্যও শ্রুতিমধুর। যে কারণে ‘ধায় যেন মোর’, ‘ভালবেসে সখি’ সঠিক মাত্রা পায়। ‘কী ভয় অভয় ধামে’, ‘আমার মন যখন জাগলি না রে’ বা ‘হিমের রাতে’ গানগুলি শুনতে ভাল লাগে।

জাগাল স্মৃতি
সম্প্রতি সুরঙ্গমা কলাকেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুচিন সিংহ গাইলেন ‘তোমার গীতি জাগাল স্মৃতি’। প্রশংসনীয় ও পরিচ্ছন্ন নিবেদন। কুমকুম চট্টোপাধ্যায়ের ‘টাপুর টুপুর’ গানটিতে ধরা পড়ে নস্টালজিক অনুভূতি। অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সুচরিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিপ্রা ঘোষ, মালবিকা ভট্টাচার্য প্রমুখ। আবৃত্তি শোনালেন রবীন্দ্রনাথ গৌতম, তাপস নাগ, প্রসূণ গুহ, উষসী সেনগুপ্ত প্রমুখ। শুরুতেই সমবেত সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এ দিন অনুষ্ঠানের প্রতিটি গানই ছিল সু-নির্বাচিত।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.